India Floods
দৈনিকবার্তা- কলকাতা, ৫ আগস্ট, ২০১৫ : ভারতে কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ১০ লাখেরও বেশি লোক বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা একথা জানান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অনেক এলাকার পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মনিপুর রাজ্যের বিভিন্ন নদীর তীর ভেঙ্গে হাজার হাজার গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এসব গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও সেতু ভেঙ্গে গেলেও কোনমতে জোড়াতালি দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। ১৮০ জনের অধিকাংশ পানিতে ডুবে মারা যায়। এছাড়া মায়ানমার সীমান্তবর্তী মনিপুরে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে চারজনের মৃত্যু হয়। সেখানে প্রবল বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাট রাজ্য থেকে আরো অনেকের লাশ উদ্ধার করায় মৃতের সংখ্যা সোমবারের ১২০ জন থেকে বেড়ে ১৮০ জনে দাঁড়ালো। সেখানে পানি কমে যাওয়ায় লোকজনকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এএফপি’কে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানে ১৩ হাজার ২শ’ গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও কৃষি খামার পানির নীচে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ১২ লাখ লোক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনে খোলা প্রায় এক হাজার ৬শ’ ত্রাণ শিবিরে বর্তমানে অবস্থান করছে।’
খান বলেন, শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় কোমেন পূর্ব উপকূলে আঘাত হানার পর পশ্চিমবঙ্গে কয়েকটি বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দেয়ার ফলে সেখানে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়। সেখানে ১৩টি জেলার বিভিন্ন নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, বন্যার কারণে উড়িষ্যায় আরো পাঁচজন এবং উত্তরাঞ্চলীয় রাজস্থান রাজ্যে ৩৫ জন মারা গেছে। রাজস্থানের দুর্যোগ মন্ত্রী গুলাব সিং কাটারিয়া এএফপিকে বলেন, ‘সেখানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ফলে এখন আমরা বন্যা কবলিত জনগণের ত্রাণ ও পুনর্বাসনেরওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
এদিকে মনিপুরে জোড়াতালি দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে গ্রামবাসীকে বাঁশের সেতু তৈরী করতে দেখা যায়। এছাড়া ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাটে আরো লাশ উদ্ধার হওয়ায় সেখানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে।