04-08-15-PM_ECNEN Meeting-2
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৫ : রাজধানীর উপকন্ঠ পূর্বাচলে চীনের আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী কেন্দ্র (এক্সিবিশন সেন্টার)। এখানে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাও অনুষ্ঠিত হবে। ২০ একর জমিতে ৭৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ তৈরি হবে। শেরে বাংলানগরে গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় (নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয় সভা ) এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনান মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ব্রিফকালে সাংবাদিকদের বলেন, একনেক আজ প্রদর্শনী কেন্দ্রসহ মোট ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ, প্রকল্প সাহায্য ৯৫৭ কোটি ১৯ লাখ এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩২ কোটি ১৩ লাখ টাকা জোগান দেয়া হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর ৮টি নতুন ও একটি সংশোধিত। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, প্রদর্শনী কেন্দ্রের জন্য চীন সরকার মজুরি হিসেবে ৬২৫ কোটি, সরকার ১৩৮ কোটি এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি() ৩২ কোটি টাকা দেবে। ইপিবি’র আওতায় টার্ন-কী (নির্মাণ-হস্তান্তর) পদ্ধতিতে ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। প্রদশর্নী কেন্দ্রে প্রতিটি ৯ বর্গমিটার আয়তনবিশিষ্ট ৮০৬টি বুথ সম্বলিক দুটি বড় হলরুম ও দেড় হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া এতে সম্মেলন কক্ষ, প্রেস সেন্টার, সভাকক্ষ, বাণিজ্য তথ্য কেন্দ্র, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, সার্ভিস রুম, সাব-স্টেশনসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে। বৈঠকে বেলারুশ থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার জন্য ৪২০ কোটি ৩০ লাখ টাকায় মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয় । স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৬-এর জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আওতায় ৩৩০টি স্কিড স্টিয়ার লোডার, ৩৩০টি ড্রিল, ৩৩০টি এক্সাভেটর, ৩২৯টি টুইন ড্রাম ভাইব্রেটর রোলার, ১১টি বোলডোজার ব্লেড, ১১টি লগ গ্রাপেল, ১১টি হুইল লোডার, ১১টি হাইড্রোলিক হ্যামার, ১১টি কম্বাইনেশন এ্যাসফলট রোলার ও ১১টি ব্লাক হোল লোডার ক্রয় করা হবে।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ১ হাজার ৩ শ’ কোটি ৫০ লাখ টাকায় অগমেন্টেশন অব গ্যাস প্রোডাকশন আন্ডার ফাস্ট ট্র্যাক প্রোগ্রাম, ১০৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় পীরগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ১১১ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, ১৯৫ কোটি টাকায় বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্প, ১৩৬ কোটি ১৬ লাখ টাকায় ভূগর্ভস্থ সেচ নালা নির্মাণের মাধ্যমে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধ্,ি ৮৩ কোট ৫২ লাখ টাকায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর, আবেদের ঘাঁট ও ইসলামপুরে পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং ২১৮ কোটি ২৪ লাখ টাকায় বৃহত্তর কুমিল্লায় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প। মন্ত্রিবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।