দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া, ৫ আগস্ট: কলাপাড়ায় কৃষক পর্যায়ে পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ লবণসহিষ্ণু জাতের পাট আবাদে সফলতা এসেছে। সেইসঙ্গে কলাপাড়ায় ব্যাপকভাবে পাট চাষের উজ্জল সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষককে আর্থিক লাভবানের সুযোগের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে সোনালী আঁশ পাট আবাদে সুদুর প্রসারি পরিকল্পনা নিয়ে সরকারিভাবে মাঠ পর্যায়ের এ কার্যক্রম শুরু হয় এপ্রিল মাসে।
প্লট হিসাবে পাইলট আকারে পাটের আবাদের জন্য সেচ, নিরানি, চাষাবাদসহ সকল সুবিধা দেয়া হয়। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পাট ও পাটজাত ফসলে কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর প্রকল্পের গবেষণা পরীক্ষণ উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ত সহিষ্ণু পাটের মাঠ মূল্যায়ন পরীক্ষণ কার্যক্রম হিসাবে মাঠ পর্যায়ে পাটের আবাদে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। মঙ্গলবার দিনভর এসব পাইলট প্রকল্প পরিদর্শন করেন পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মোঃ কামাল উদ্দিন। এসময় পরিচালক (কৃষি) মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ মশিউর রহমানসহ একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
পাট গবেষণা উপ-কেন্দ্র পাখিমারার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বৈজ্ঞানিক ড. মাহমুদ আল হোসেন জানান, পাটের একটি উচ্চ লবণাক্ত সহিষ্ণু জাতের (১৪ ডেসি চ/স) লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা এবছর পরীক্ষামূলকভাবে চাষীর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। মহাপরিচালক জানান, সরকারের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতায় কলাপাড়ার গোটা উপকূলে পতিত লবনাক্ত জমি পাট চাষের আওতায় এনে কৃষকের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানোর উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষামূলক প্রকল্পগুলো সফল হয়েছে। কৃষক সুধাংসু প্রসাদ ভৌমিক জানান, এ জাতের পাট প্রতিকূল আবহাওয়ায় চাষ করাও সম্ভব। এ উদ্যোগের ফলে পতিত জমিতে বাড়তি ফসল আবাদের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও এ কৃষকের মন্তব্য।