1432215694

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ আগস্ট: ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী ও পণ্য রফতানিতে ৩ বছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ সহায়তা এবং ইলেকট্রিক্যাল শিল্প পার্ক স্থাপনের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী ও পণ্যে বিনিয়োগ আকৃষ্ট ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদান ও রফতানি বৃদ্ধির জন্য এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।মঙ্গলবার এফবিসিসিআই’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এ দাবি জানানো হয়।ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড ২০১৫’ উপলক্ষ্যে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ৬ থেকে ৮ আগস্ট ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড ২০১৫ বিষয়ক মাল্টি সেক্টরাল এক্সপোজিশন অনুষ্ঠিত হবে। যার উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।একই ভেন্যুতে ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ‘ইন্ডিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কনক্লেভ: দি ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কনক্লেভ। এর উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।লিখিত বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্প্রসারণের উৎসাহ দেখাচ্ছে। বর্তমান হাইকমিশনার ও তার টিম দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। ইন্ডিয়া ইনভেসট্রেড ২০১৫ আয়োজন তাদের এ প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৩ দিকে স্থল সীমানা, নদ-নদী ও সমুদ্র সীমানা ভারতের সঙ্গে যুক্ত। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে উভয় দেশের আন্তরিক সহযোগিতা এবং সমঝোতা একান্ত জরুরি।দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত চুক্তির কারণে তামাক ও এলকোহলজাতীয় পণ্য ব্যতিত সকল পণ্য আমদানিতে ভারত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। বিদ্যুৎ উন্নয়নে ইতোমধ্যে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে বলেন মাতলুব।

তিনি আরও বলেন, মেলায় এনার্জি, ইলেকট্রিক্যাল ইক্যুইপমেন্ট, ইলেকট্রনিক্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারিসহ বেশকিছু পণ্য প্রদর্শন করা হবে। যা বাংলাদেশের এসব পণ্যের গুণগত মানোন্নয়নে সহযোগিতা করবে। ফলে ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি বৃদ্ধি পেতে পারে। নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থার প্রমাণ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের প্রথম সচিব বিজয় সিলভারাজ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সহ-সভাপতি সৈয়ব চৌধুরী প্রমুখ।