দৈনিকবার্তা-মাদারীপুর, ০৪ আগস্ট ২০১৫: মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের নামে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।সূত্রে জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মাদারীপুর হাসপাতালে রোগীদের খাবার পরিবেশনের জন্য বাদশা মোল্লা নামে এক ঠিকাদারকে হাসপাতালে রোগীদের খাবার পরিবেশন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরেজমিনে জানা গেছে, সিডিউলে বরাদ্দকৃত খাবার প্রচলিত বাজারমূল্য থেকে বেশি টাকা দরপত্র পেলেও নিম্নমানের সস্তা ও কম খাবার প্রতিদিন সরবরাহ করে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে এর সাথে জড়িত হয়ে মোটা অংকের কমিশন পাচ্ছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.শফিকুল ইসলাম রাজিব।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠিকাদার সিডিউলে উল্লেখিত পরিমানের চেয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে কম খাবার, সস্তা দরে নি¤œ মানের খাবার প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়েছে। সকালের ডাইলে পাউরুটি বাশি ও পোকা থাকায় রোগীরা না খেয়ে আবর্জনার সাথে ফেলে দেয়। দৈনিক সকালে জনপ্রতি ডাইট পাউরুটি ২০০ গ্রাামের স্থলে বাশি পঁচা ও পোকাযুক্ত ১০০ গ্রাম, কলাও নি¤œমানের বাশি একটি করে, দুপরে ও রাতে ভাত ৪০০ গ্রামের স্থলে নি¤œমানের ২০০ গ্রাম, মশুরি ডাল ৩০ গ্রামের স্থলে ২০ গ্রাম, সপ্তাহের ২/৩দিন মাংশ সরবরাহের বিধান থাকলেও মাসের পর মাস মাংশ সরবরাহ করা হয় না।
দৈনিক সরবরাহকৃত সিডিউলে বরাদ্দ খাবারের গুনগত মান তদারকি করতে হাসপাতালে কমিটি থাকলেও তারা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অনিয়মের সুযোগ দিচ্ছে। ওই কমিটি সিডিউলে বরাদ্দকৃত খাবারের গুনাগুন মানসম্মত হলে রান্না করতে অনুমতি দেওয়ার বিধান কিন্তু ওই কমিটি প্রতি মাসে মোটা অংকের কমিশন নিয়ে নি¤œমানের খাবার সরবরাহরে অনুমতি দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির সদস্যরা জানান, ঠিকাদার সিডিউর বহির্ভূত সস্তা দামের ও নি¤œমানের খাবার সরবরাহ করছেন একে সহযোগিতা করছে হাসপাতালেই একটি সিন্ডিকেট। নিম্মানের খাবার হওয়ায় দরিদ্র রোগীরা নিজ খরচে খাওয়া খেতে হয় আবার কেউ অধিকাংশ সময়েই না খেয়ে অনাহারে থাকে। এ ব্যপারে স্থানীয় কয়েক সাংবাদিক মঙ্গলবার এসংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিভিন্ন রোগিরা বিস্তর অভিযোগ করেন। এর কিছুক্ষন পরেই হাসপাতালের এমএলএসএস মাওলা রোগিদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিবের হুকুমেই মাওলা রোগিদের হুমকি দিয়েছে।এব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম রাজিবের ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিফ করেননি। অপরদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. দিলিপ কুমার মন্ডল জানান, হাসপাতালে ওয়ার্ডে পরিদর্শনে গেলে রোগীরা অভিযোগ করেনা। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই অনিয়মের সাথে যদি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।