দৈনিকবার্তা-নাটোর, ৪ আগস্ট: নাটোরের হালতিবিলে বেড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরো দুইজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের চলনবিলের হালতিবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জাহিদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পাবনার সাথিয়ায়। তার সহপাঠী আহত বৈশাখী খাতুন ও আলিফ জাহান রিপন একই বিভাগের শিক্ষার্থী। বৈশাখীর বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ও রিপনের বাড়ি পঞ্চগড়ে। আহতদের প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আরেক সহপাঠী প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ শাহিনুর জানান, মঙ্গলবার সকালে তারা ১৫ জন বন্ধু মিলে হালতিবিলে বেড়াতে যান। এরপর দুপুর ১২টার দিকে তারা বিলে নৌকায় করে ঘুরছিলেন। নৌকার ছাদে তারা আনন্দে নাচানাচি করছিলেন। হঠাৎ বিলের উপর দিয়ে চলে যাওয়া বিদ্যুতের তারের সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জাহিদুল পানিতে পড়ে যান। পরপরই বৈশাখী ও রিপনও বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে নৌকার উপর পড়ে যায়। পরে অন্য সহপাঠীরা তাদেরকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।নাটোর সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবুল কালাজ আজাদ জানান, আহত দুজন শিক্ষার্থী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজিবুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নলডাঙ্গার হালতিবিলে বেড়াতে এসে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে রাবির তিন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে নিলে জাহিদুল নামের এক শিক্ষার্থীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর রকীব আহমদ বলেন, বিভাগের অনুমতি ছাড়ায় তারা বেড়াতে গিয়েছিল। জাহিদুলের লাশ নাটোর থেকেই পাবনায় তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই জানাযা শেষে দাফন করা হবে। এদিকে আহত অপর দু’জন রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর তারিকুল হাসান জানান, বেড়াতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক।