দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ আগস্ট: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সাক্ষ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা দ্রুত নিস্পত্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিচারক সঙ্কটের কারণেই দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে কমিটির মিটিং শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।সুরঞ্জিত বলেন, বিচারক সঙ্কটের কারণেই প্রতিনিয়ত মামলার জট বাড়ছে। বর্তমানে ৩০ লাখ মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিচারকহীন বিচার ব্যবস্থায় এ জট কমানো যাবে না।এর আগে সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয়।কমিটির সদস্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শামসুল হক টুকু, মো. আব্দুল মজিদ খান, তালুকদার মো. ইউনুস, এড: মো. জিয়াউল হক মৃধা, সফুরা বেগম সভায় অংশগ্রহণ করেন।এছাড়া সভায় ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিস্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় জানানো হয়, এই মামলার অভিযোগপত্র ও সম্পুরক অভিযোগপত্রে মোট সাক্ষী ৪৯১জন। ইতোমধ্যে ২টি মামলার প্রত্যেকটিতে ১৬৭ জন করে ৩৩৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে।সভায় সারাদেশে জমে থাকা মামলা সমূহ দ্রুত নিস্পত্তির বিষয়ে আইন কমিশনের দু’টি এবং সংসদীয় কমিটির একটি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে অনুমোদিত বিচারকের পদ রয়েছে ১ হাজার ৬৫৫টি। এর মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের প্রতিবেদন অনুযায়ি ৪৫৭ টি পদ শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় সারা দেশে জমে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পর্যায়ক্রমে বিচারক নিয়োগদানের ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।সভায় বিচার ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবিগণের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়।সভায় আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।