দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ০৪ আগস্ট ২০১৫: বগুড়ার ধুনটে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ২৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। ওই প্রকল্পের অবশিষ্ট ৪৫০ মিটার এলাকা ঝূঁকিপূর্ণ রয়েছে। এতে তীরবর্তী এলাকা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের আশংকায় স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করেছে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরে ভান্ডারবাড়ী থেকে কৈয়াগাড়ী গ্রাম পর্যন্ত ৭০০ মিটার প্রকল্পের কাজ করা হয়। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি গ্রুপে প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার আগে থেকেই নদী ভাঙনের শিকার হয় প্রকল্প এলাকা। গত কয়েক বছরে দফায় দফায় ভাঙনে প্রকল্পটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতি বছরই নদীতে পানি বৃদ্ধি বা কমে যাওয়ার সময় পানির প্রবোল ¯্রােত তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে আঘাত করে। এতে প্রকল্পে ব্যবহৃত সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ধসে যায়। ধস ঠেকাতে পাউবো জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলেছে। চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে দু’দফা প্রকল্প এলাকা নদীতে ধসে যায়। বর্তমানে ডান তীর সংরক্ষণ এলাকার ৩০টি স্থানে ভাঙনের ক্ষত রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিমাণ প্রায় ২৫০ মিটার। অবশিষ্ট ৪৫০ মিটার এলাকাও রয়েছে ধসে যাওয়ার ঝূঁকিতে। এদিকে প্রকল্প এলাকার ধসে যাওয়া স্থান গুলো স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হয়নি। তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সন্নিকটে। প্রকল্প এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে আবাদী জমিও নদীতে বিলীন হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বাঁধ ও তীরবর্তী এলাকার আবাদী জমি ভাঙনের আতংকে রয়েছে।
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হওয়ায় ৭০০ মিটার এলাকা রক্ষা পায়। কিন্তু প্রকল্প এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধসে গেছে এবং অবশিষ্ট অংশ ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা উজানে। বর্তমানে ভাটিতে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করেছে। কিন্তু উজানে থাকা ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প রক্ষা করা সম্ভব না হলে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, আবাদী জমি এবং ভাটিতে থাকা তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকাও রক্ষা করা সম্ভব হবে না।বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশীদ বলেন, ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এলাকা শুরু থেকেই ভাঙনের শিকার হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ধস দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা করে। বর্তমানে পুরো প্রকল্প এলাকাই ঝূঁকিপূর্ণ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৭০০ মিটার এলাকা নতুন করে কাজ করা প্রয়োজন। এজন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।