Feni dagon Flood Pic 7

দৈনিকবার্তা-ফেনী, ০৪ আগস্ট ২০১৫: পানি উন্নয়ন বোর্ড’র অবহেলার কারণে ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বসুরহাট ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ ৯ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রামের বন্যার পানি নামছে না। আর এ কারণে দুর্ভোগ ও ক্ষতির মুখে পড়েছে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। এই নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও আতংক বিরাজ করছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাগরের লবণাক্ত পানি রোধ ও মিঠা পানি সংরক্ষণের জন্য ছোট ফেনী নদীর ভাটিতে সমুদ্র উপকূলের নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মুসাপুর এলাকায় গত ২৯ মার্চ নদীর মূল বাঁধ দেয়া শেষে চালু করা হয় ২৩ ভেন্টের একটি রেগুলেটর। ১ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই বাঁধ দেয়ার আগে বাঁধের নিরাপত্তার জন্য নদীর উজানে কাজির হাট, সাহেবের ঘাট ও জনতা বাজারের কাছে তিনটি অস্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়। রেগুলেটরটি চালুর পর অস্থায়ী বাঁধগুলো অপসারণের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অস্থায়ী বাঁধ অপসারণ না করায় নামছে না বানের পানি। ফলে এখনও পানিতে তলিয়ে আছে ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সেনবাগ, বসুরহাট ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ ৯ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রাম। আর এ কারণে দুর্ভোগ ও ক্ষতির মুখে পড়েছে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, বর্ষা মওসুমের আগে বাঁধগুলোর মাঝে কিছু পরিমাণ কেটে দেয়া হয়। এই সরু পথ দিয়ে নামতে পারছে না উজানের ছোট ফেনী নদী ও কুমিল্লার নতুন এবং পুরাতন ডাকাতিয়া নদীর পানি। আর বাঁধের সংকুচিত পথের কারণে পলি ভরাট হয়ে পড়েছে রেগুলেটরের উজানের চ্যানেলটি।বাঁধের অস্তিত্বের কথা স্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকা বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক সুব্রত বসু বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসীর প্রতিবন্ধকতা ও সময়ের অভাবে অস্থায়ী বাঁধগুলো অপসারণ করা যায়নি।পানি উন্নয়ন বোর্ড’র (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিনের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, অপসারণ করা হয়েছে অস্থায়ী বাঁধগুলো।