জয়1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে মামলাটি করা হয়।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, এর আগে একই অভিযোগে মার্কিন আদালতে মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের সাজা হয়েছে।

জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনও নিউইয়র্কে রয়েছেন।ডিএমপি তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলামের ভাষ্য, পল্টন থানায় মামলাটি হয়েছে।মামলার নম্বর ১।ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক ফজলুর রহমান মামলাটি করেন।ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিউইয়র্কে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিএনপি এবং জোটের কোনো কোনো নেতা জড়িত বলে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন। এই ষড়যন্ত্রে জোটের কোনো কোনো নেতা অর্থ জোগান দিয়েছেন ও কিছু অর্থ লেনদেনও হয়েছে।

মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) জানতে পারে যে এফবিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান দুই এজেন্ট ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁরা হলে, রবার্ট লাসটিক ও জোহান্স থ্যালার। তাঁরা জয় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতেন।পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মার্কিন আদালতে মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের ৪২ মাস ও জোহান্স থ্যালারের ৩০ মাস সাজা হয়।

অন্য একটি ঘটনায় লাসটিকের বিচার চলছে।পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মামুন বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। পরিবার নিয়ে কানেটিকাটের ফেয়ারফিল্ড কাউন্টিতে বসবাস করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায়। তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত গোপন তথ্য পেতে এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে গত ৪ মার্চ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় নিউ ইয়র্কের একটি আদালত।সিজার আদালতের রায়ে কারাগারে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়।গত ৯ মার্চ জয় ফেইসবুকে এক পোস্টে লেখেন, আমাকে যখন কেউ হত্যার চেষ্টা করছে, সেটিও তখন আমি খুবই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে নিচ্ছি। যারা এর জন্য দায়ী, তারা বিএনপির যতো উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বই হোক না কেন, আমি তাদের হদিস বের করে বিচারের মুখোমুখি করব।

পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে মামুন ছাড়া অন্য কারও নাম না থাকলেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এতে জড়িত থাকতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। মামলার বাদী পরিদর্শক ফজলুর রহমান বলেন, ২০১১ সালের আগে থেকেই সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র চলছিল। এ ঘটনায় জাসাস নেতা জড়িত থাকতে পারেন এমন তথ্য-প্রমাণ পেয়ে তাকে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে।