দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৪ আগস্ট: রাজধানীর রমনা থানায় নাশকতার এক মামলায় দায়ের করা চার্জশিট আমলে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৩১ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক চার্জশিট আমলে নিয়ে এ অব্যাহতি দেন।গত ১৯ মে বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ার ও রুহুল কবির রিজভীসহ ৩১ নেতাকর্মীকে নাশকতার ওই মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ ও সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিলো রমনা থানা পুলিশ।চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির সামনে নাশকতা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো।
রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় পুলিশবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ওই মামলায় মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন। তবে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। সোহেল ছাড়া অপর ব্যক্তিরা হলেন, আনোয়ার হোসেন টিপু, মোহাম্মাদ হোসেন, আব্দুস সত্তর, মো. রফিক আকন্দ, আলফাজ ওরফে আব্বাস ও মো. শাহ আলম। অব্যাহতি পাওয়া অপর বিএনপি নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, রহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আজিজুল বারী হেলাল, রুহুল কবির তালুকদার দুলু, বরকতউল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু, আব্দুস সালাম, মীর শরাফাত আলী সপু প্রমুখ।
গত ১৯ মে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির এসআই দিপক কুমার দাস মামলাটির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ৩১ জনকে অব্যাহতির আবেদন এবং ৭ জনকে অভিযুক্ত করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধের ১২তম দিনে রাত পৌনে ৯টার দিকে মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০/৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন।এই ঘটনায় কনস্টেবল শামীম, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শিপন, মোরশেদ, বদিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ওই ঘটনার পর মোহাম্মাদ হোসেন, আব্দুস সত্তর, মো. রফিক আকন্দ ও আলফাজ ওরফে আব্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিতে তারা হাবিবুন নবী খান সোহেলের নির্দেশে এই পেট্রোলবোমা হামলা চালান বলে উল্লেখ করেন।