দৈনিকবার্তা-মাগুরা, ০৩ আগস্ট ২০১৫: মাগুরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মায়ের গর্ভে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আরও দুজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাগুরায় গর্ভস্থ শিশু গুলিবিদ্ধ ও একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় আরো দুজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বন্দর নগরীর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- বাপ্পী (৩৩) ও সাগর (৩৫)। তারা দুজনই মাগুরার বাসিন্দা।আটকের পর তাদের দুজনকে নিয়ে মাগুরার দিকে রওনা দিয়েছে ডিবি পুলিশ।
এর আগে রোববার দিনগত রাতে মাগুরার ওয়াপদা থেকে ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ১৩ নম্বর আসামি নজরুলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আর এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় ঢাকার কল্যাণপুর থেকে র্যাব সদস্যরা প্রধান আসামি সেন সুমনকে গ্রেপ্তার করে। পরে নজরুলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।এর আগে গ্রেপ্তার হন সুমন হোসেন মল্লিক ও সোবহান শেখ নামে দুজন। গত ২৭ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ফারহা মামুন গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামির মধ্যে সুমন হোসেন মল্লিক ও সোবহান শেখের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে প্রধান আসামি সেন সুমন ও অপর আসামি নজরুলকে রিমান্ডে আনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই মাগুরার দোয়ারপাড় এলাকায় প্রকাশ্য দিনের বেলায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিয়ে যুবলীগ নামধারী দুটি পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এসময় সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নাজমা বেগম (৩০), তার চাচা শ্বশুর মমিন ভূঁইয়া (৬০) ও মিরাজ (৩০) নামে অপর এক যুবক আহত হয়। এদের মধ্যে মমিন ঘটনার পর দিন ২৪ জুলাই ভোরে মারা যান। গুলিবিদ্ধ নাজমা বেগমকে ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের পর একটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়। পরে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। যেখানে বিশেষ ব্যবস্থায় মা ছাড়াই শিশুটিকে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসার পর গত ৩০ জুলাই মা নাজমা বেগমকে ঢাকায় শিশুটির কাছে পাঠানো হয়।বন্দুকযুদ্ধে নিহত মমিন ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল হোসেন গত ২৬ জুলাই মাগুরা সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সেন সুমন হোসেন, আজিবর, মোহম্মদ আলিসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।