khaleda zia-5

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ আগস্ট ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। বাকি জেরার জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানির নির্ধারিত দিনে সোমবার হারুন-অর রশিদকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষ। প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অপর আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে অ্যাডভোকেট এ এন এম আবেদ রাজা জেরা করেন। আগামী ১০ আগস্ট বাকি আসামিদের পক্ষে জেরার দিন ধার্য করেছেন আদালত।দুই মামলায়ই এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন বাদী ও প্রথম সাক্ষী হারুন-অর রশিদ। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে আসামিপক্ষের জেরা প্রথমে করা হচ্ছে।আবেদনে উল্লেখ্য করা হয়- বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে তা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে রিভীয়ু পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। যা বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।তা নিষ্পুতি না হওয়া পযন্ত মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখা হোক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দেন।দু্ই মামলায় ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন— মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।