2000px-বাংলাদেশ_নির্বাচন_কমিশনের_লোগো.svg

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ আগস্ট ২০১৫: রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার আরও একমাস সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।তবে যেসব দল সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়-ব্যয়ের বিবরণী জমা দেননি এবং ইসিতে সময় বাড়ানোরও আবেদন করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার ইসি সচিবালয়ের নিজ কার‌্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। বেশকিছু দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাদের হিসাব জমা দিয়েছে। আবার কিছু দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে,’ বলেন মো. শাহ নেওয়াজ।তিনি বলেন, তবে যেসব দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাবও জমা দেয়নি আবার সময় বাড়ানোর আবেদনও করেনি, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কননা, পরপর তিন বছর কোনো দল আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিলে সে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।

গত বছরও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ ক’টি দলের আবেদনের ভিত্তিতে একমাস অতিরিক্ত সময় বাড়িয়েছিল ইসি।নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি। ইসি জনসংযোগ শাখার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নয়টি দল হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।এসব দল হলো- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদশে মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।এছাড়া ২৫টি দল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব জমা দিয়েছে। অবশিষ্ট ছয়টি দল কোনো সাড়া দেয়নি।

এদিকে, ঢাকার ভোটারদের আগে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র’ স্মার্ট কার্ড প্রদান করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে ২০১৪ সালের ভোটাররা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লেমিনেটেড কার্ডের পরিবর্তে পাবেন স্মার্ট কার্ড।নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, এ মাসের শেষেই অথবা আগামী মাসের শুরুতে স্মার্ট কার্ড উৎপাদনের যাবো।প্রথমে ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকার ভোটাররা আগে উন্নতমানের এ কার্ড পাবেন। পরবর্তীতে জেলা ও থানা পর্যায়ে তা বিতরণ করা হবে।শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘২০১৪ সালে নতুন যে ৪২ লাখ নাগরিক ভোটার হয়েছেন, তাদের কোনো কার্ড দেয়া হয়নি। তাই তাদের প্রথমে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।খুব শিগগিরই স্মার্ট কার্ড উৎপাদনে যাবে কমিশন জানিয়ে তিনি বলেন, নাগরিককে স্মার্ট কার্ড দেয়ার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ ভাণ্ডারে মেশিন বসানোর কাজ চলছে। এ মাসের শেষেই অথবা আগামী মাসের প্রথম দিকে উৎপাদনে যাব। কখন, কীভাবে, কাদের মাধ্যমে এই কার্ড বিতরণ করা হবে, সে বিষয়ে কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।এ সময় ছিটমহলবাসীদের ভোটার করা প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘মাত্র ছিটমহল বিনিময় হল, এখন সেসব এলাকার সীমানা নির্ধারণ হবে।এরপরই আমরা বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ছিটমহলবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত করা হবে।দেশে বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখ ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে ৯ কোটি ২০ লাখের মতো নাগরিকদের লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হয়েছে।