1437650038

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ৩ আগস্ট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের তারিখ চতুর্থবারের মতো পিছিয়েছে।আগামী ১০ আগস্ট পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মকবুল হোসান। এ নিয়ে চতুর্থ দফা পিছিয়েছে অভিযোগ গঠন।গত ২১ জুন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির আহমদ পাটওয়ারী কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য ৬ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু গ্রেফতারকৃত সকল আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় অভিযোগ গঠন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সোমবারও একই কারণে অভিযোগ গঠন হয়নি।৬ জুলাই ছাড়াও ১৪ জুলাই, ও ২৩ জুলাই আলোচিত এই মামলার অভিযোগের গঠনের তারিখ ছিল।

সোমবার (৩ আগস্ট) নির্ধারিত তারিখে গ্রেফতারকৃত ২২ আসামির মধ্যে (জামিনে থাকা ৮জনসহ) ১৩জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (বরখাস্তকৃত) আরিফুল হক চৌধুরী, মুফতি হান্নানসহ ৯ জন গুরুত্বপূর্ণ আসামিকে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করতে পারেনি। আরিফুল হক চৌধুরী অসুস্থতা জনিত কারণে ও বাবর, মুফতি হান্নানসহ অন্য আসামিদের পৃথক মামলায় হাজিরা থাকায় হাজির করা হয়নি বলে জানা গেছে।

আসামিদের মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার (বরখাস্তকৃত) মেয়র জি কে গৌছ এবং হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সদস্য হাফিজ নাঈম আরিফ, বদরুল আলম মিজান, মিজানুর রহমান মিঠু ও দেলোয়ার হোসেন রিপন উপস্থিত ছিলেন।আসামীপক্ষের আইনজীবী জানান, সকল আসামী উপস্থিত না হলে চার্জ গঠনের কোনো বিধি নেই। আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন চার্জ গঠনের পর ৯০ দিনের মধ্যেই শেষ করা হবে মামলার কার্যক্রম।২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান ওই রাতেই হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।

তিন দফা তদন্তের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারি পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুল, গউছ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১০ জন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।