Image - Australians says WE SALUTE Bangladesh - 02

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ আগস্ট ২০১৫: “অস্ট্রেলিয়া বরাবরই বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে এরাই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং সেখান থেকেই শুরু। স্বাধীনতার পরপরই আমরা দ্বিপাক্ষিক মিশন একে অন্যের দেশে স্থাপন করি। তখন থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ণকে সমর্থন করার পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আগে থেকেই এরা আমাদেরকে সহযোগিতা করে এসেছে। এবার যোগ হচ্ছে জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাত”- হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন জানাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সর্বশেষ আপডেট।

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র ডিপ্লোম্যাট কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, “বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার রয়েছে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক সুদৃঢ় বন্ধন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে এরা যেমন আমাদের অন্যতম সহযোগী দেশ, আমরাও সাধ্যমতো পাশে থাকি অস্ট্রেলিয়ার”।

জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে অস্ট্রেলিয়ান সহায়তা প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, “এ বছর থেকে বাংলাদেশের জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি বিশেষ প্রজেক্টে অর্থায়ন করছে অস্ট্রেলিয়া। এর অধীনে প্রায় ৭০ জন বাংলাদেশী ব্যুরোক্রেট, টেকনিশিয়ান এবং ইঞ্জিনিয়ার আগামী দু’বছর অর্থাৎ এবছর এবং আগামী বছর এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফর্মাল ট্রেইনিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইটগুলোতে প্রেক্টিক্যাল ট্রেইনিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।

হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন আরো জানান, “আমাদের সরকারী কর্মকর্তাদেরকে এরা স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নেও আমরা আমাদের সিভিল সার্ভেন্টদের এদেশে পড়তে পাঠাই। আমি মনে করি অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি হিউম্যান ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্টে বড় ধরণের একটা সাপোর্ট আমরা অস্ট্রেলিয়ানদের কাছ থেকে পাচ্ছি। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখানকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করছে এদের স্বলারশিপ নিয়ে, এমনকি নিজেদের অর্থায়নেও। এডুকেশন সেক্টরে আমাদের দু’দেশের পরষ্পরিক ভালো কন্ট্রিবিউশন রয়েছে”।

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অসম্ভব রকমের একটা ভালো ধারণা কাজ করে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে – এমনটাই জানান হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। গর্ব করে তিনি বলেন, “ছোট ল্যান্ডমার্কের একটা দেশে এতো বিশাল পপুলেশন নিয়ে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতির দিকে যাচ্ছে, বিভিন্ন সময় অস্ট্রেলিয়ানরা আমাকে বলে, উই স্যালুট বাংলাদেশ হোয়াট দে হ্যাভ অ্যাচিভড। এটাতো গেলো হাই লেভেলে সরকারী লোকজনদের কথা। এখানকার সাধারণ জনগনও বাংলাদেশ সম্পর্কে ভেরি পজিটিভ ধারণা পোষণ করে থাকেন। তাছাড়া ইদানিংকালে আমাদের ক্রিকেট যেভাবে ভালো করেছে, সেটাও অস্ট্রেলিয়ান জনগনের মাঝে দারুন প্রভাব ফেলেছে। সব মিলিয়ে এরা এখন জানে, সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ”।