দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ আগস্ট: শোক দিবসের নাম করে চাঁদাবাজি করলে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিলেন ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের গন্ধ পেলেই অনেকে হেয় করার জন্য নানা অপপ্রচার করে। তাই শোক দিবসের নাম করে কোনো ধরনের চাঁদা তোলা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।তিনি রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নেওয়া ৪০ দিনের সকল কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি।সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, শেখ বজলুর রহমান, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মায়া বলেন, আপনার কথায় আমরা পরিবর্তন লক্ষ করছি। তাই আপনি দেশকে ভালোবাসলে দেশের এই শোকের মাসে অন্তত পক্ষে ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করবেন না। তাহলে প্রমাণ হবে, আপনি ভুলভ্রান্তি শেষ করে শুধরিয়েছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণমন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপি ১৫ আগস্টে মিথ্যা জন্মদিনে কেক না কাটার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, যিনি (বঙ্গবন্ধু) তার সংসার রক্ষা করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হলেও বেগম জিয়ার জাতীয় শোক দিবসে মিথ্যা জন্মদিন সাজিয়ে কেক না কেটে শ্রদ্ধার সাথে বঙ্গবন্ধুকে তার সম্মান জানানো উচিত।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে অংশ গ্রহণ করতে হবে এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কেক কাটা বন্ধ করতে হবে। কেননা আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে বিএনপির অবস্থা মুসলিম লীগের মতো হবে।বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছে বিএনপি তার খেসারত দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়-সীমা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। আর বিএনপি তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্যই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে।
কামরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে এসেছে। দেশের মানুষের মতো আমরাও প্রত্যাশা করি বিএনপি অতীতের মতো কোন কুটিল ও পৈশাচিক কর্মসূচী গ্রহন করবে না।