1438415284

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২ আগস্ট: মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার গাজীপুরে মালিক ও চালকরা সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন করেছে। পুলিশ, এলাকাবাসি ও আন্দোলনরতরা জানায়, মহাসড়কে অটোরিক্সা বন্ধের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে (তিনটার দিকে) সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক ও শ্রমিকরা গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ করে। এসময় তারা শতাধিক অটোরিক্সা মহাসড়কের উপর এলোপাতাড়ি রেখে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা-জয়দেবপুরসহ বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়ক মহাসড়কগুলোতে যানবাহন আটকা পরে।

প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী অবরোধের কারনে ওই সড়ক মহাসড়কগুলোতে যানবাহন আটকা পড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে সড়কের উপর থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনঃরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এব্যাপারে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এদিকে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক গাজীপুর জেলা সিএনজি অটোরিক্সা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে রাজবাড়ী মাঠে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে গাজীপুর জেলা শহরসহ আশেপাশের সড়কগুলোতে দুপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

এছাড়ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় অটোরিক্সা চালক-শ্রমিকরা মহাসড়ক কিছু সময় অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি হেলালুর রহমান জানান, অটোরিক্সা চালক শ্রমিকরা মহাসড়ক জৈনাবাজার এলাকায় ৫/১০ মিনিটের মতো অবরোধ করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

আন্দোলনরত মালিক-চালকরা জানায়, গাজীপুরে প্রায় ১০ হাজার বৈধ অটোরিক্সা রয়েছে। তারা প্রতিবছর সরকারকে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে। মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকলে প্রায় ৩০ হাজার মালিক শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তারা অবিলম্বে অটোরিক্সা বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

অটোরিক্সা মালিক মোঃ ফকরুল ইসলাম জানান, তার দুইটি অটোরিক্সা রয়েছে। শনিবার পুলিশ একটি অটোরিক্সা আটক করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। অনেকে কিস্তিতে অটোরিক্সা কিনেছেন। মেইন রুট ছাড়া আমরা কোথায় গাড়ি চালাব। তাছাড়া জেলার অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো মহাসড়কের পাশে হওয়ায় গ্যাস সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েই অটোরিক্সাগুলোকে মহাসড়কে যেতে হবে। ফলে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে গাড়ি চালাতে না পারলে গাড়ির কিস্তি পরিশোধ ও সংসার চালাব কী করে?