দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০২ আগস্ট ২০১৫: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে যথাযথ আইন প্রণয়নের পাশাপাশি তাদেরকে কর্মমূখী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আর এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার মহিলাদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, মোবাইল সার্ভিসিং, আধুনিক গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ, অটোমোবাইল ও সিএনজি মেরামতসহ সিএনজি চালনাসহ গতানুগতিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষা প্রদান করছে। তিনি গতকাল রবিবার বিকেলে মহিলা অধিদপ্তর এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের আয়োজনে গাজীপুর কালীগঞ্জের নোয়াপাড়ায় শহীদ ময়েজ উদ্দিন মহিলা আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের পর এই অঞ্চলের অদক্ষ মহিলারা বিভিন্ন ট্্েরডে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঢাকার অদূরে হওয়ায় চাকুরী বাজারের চাহিদানুযায়ী প্রশিক্ষিত নারীরা কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্তির সুযোগ পাবে। ফলে নারীদের বেকারত্ব দূর হবে। পারিবারিক এবং জাতীয় জীবনে নারীদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পাবে।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক শাহীন আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জাকির হোসেন, কালীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আশরাফী হাসান মেদেহী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম তরিকুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি, নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় অনুরূপ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আর ১৯৭৫ সালের এই মাসে ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে নারী উন্নয়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির গলা চেপে ধরেছিল। বাংলাদেশ পেছনের দিকে চলছিল। হত্যা, সন্ত্রাস, দূর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল আমাদের এই প্রিয় দেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ পেয়েছে তার সঠিক নেতৃত্ব ও সঠিক পরিচয়। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে।উল্লেখ্য, শহীদ ময়েজ উদ্দিন মহিলা আবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ তলা ভবন নির্মিত করা হবে। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৫০ জন নারী সার্বক্ষণিক থাকা-খাওয়া ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। প্রতিমাসে প্রত্যেককে ৫০০ টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে। এখানে আধুনিক গার্মেন্টস, বেসিক কম্পিউটার, এমব্রয়ডারী, বিউটিফিকেশন, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং ও ফুড প্রসেসিং প্রভৃতি ক্যাটাগরীতে ৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।