দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জুলাই  ২০১৫: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর উদ্যোগে সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আজ ৩১ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ৭.০০টায় একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পী মাসুদ আহমেদ এর একক সঙ্গীত সন্ধ্যা’র আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী বেশকিছু বাংলা আধুনিক গান পরিবেশন করেন।

প্রসঙ্গত, মাসুদ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ১৯৭৪ সাল থেকে তিনি ঝংকার ললিতকলা একাডেমীতে সঙ্গীতে হাতে খড়ি নেন। পরে তিনি ওস্তাদ শ্রী বারীন মজুমদার ও ওস্তাদ আখতার সাদমানীর কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিতে থাকেন। তিনি সঙ্গীতকে ভালোবেসে পেশা হিসেবে না নিতে পারলেও গত ১ যুগ ধরে অপেশাদার শিল্পী হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, জাতীয় জাদুঘর, ছায়ানট এবং সংস্কৃতি সংস্থা মৃদঙ্গ, সৃজন ও সুরধ্বনির মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছেন।

 আধুনিক বাংলা গান এবং নজরুল সঙ্গীতেই তাঁর বিশেষ মনোযোগ। বেশকিছু জনপ্রিয় হিন্দি গানও তিনি গেয়ে আসছেন। ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আান্তঃহল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পান। কন্ঠ সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বঙ্গবন্ধু একাডেমী এ্যায়ার্ড, মান্নাদে পুরস্কার ও ফুলকলি স্বর্ণপদকসহ আরো অনেক সম্মননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি একজন লেখকও বটে। তাঁর রচিত ৭টি উপন্যাস ও ১০৭টি ছোট গল্প উল্লেখযোগ্য পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।

 তাঁর কাহিনীভিত্তিক সাপ্তাহিক নাটক, ধারাবাহিক নাটক এবং টেলিফিল্ম তৈরী হয়েছে ১০টি এগুলো বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। ইংল্যান্ডের অঁঃযড়ৎ ঐড়ঁংব চঁনষরংযবৎ প্রকাশিত তাঁর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উটঝক উঅডঘ অঘউ খওইঊজঅঞওঙঘ এখন ঐঙখখণডঙঙউ এই শিল্পীর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েয়ে। নাট্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি নাট্যসভা, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিকসহ অন্যান্য পুরস্কার পেয়েছেন। দেশে ও বিদেশে এ পর্যন্ত তাঁর একক সন্ধ্যা হয়েছে ১৫টি। আজ দর্শক সারিতে উপস্থিত আছেন মাসুদ আহমেদ এর স্ত্রী রিফাত রেজা। আজ এই শিল্পী দর্শকদের ৫০,৬০ ও ৭০ দশকের বেশকিছু আধুনিক বাংলা গান শোনাবেন। বাংলাদেশের ইউনিভারস্যাল মিউজিক কোং এই শিল্পীর ১১টি গান সম্বলিত সিডি “বনতল ঝরাফুলে ছাওয়া” ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে।