দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জুলাই: প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর জনশক্তিতে রূপান্তর করতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।তিনি শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ-উল আলম ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।অভিষেক অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পিটিআই কর্মকর্তা সমিতির নবনির্বাচিত মহাসচিব মো. সেলিম। সভাপতিত্ব করেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।মন্ত্রী বলেন, সরকার আইসিটিভিত্তিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে ৫৫টি পিটিআইতে কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছে। এ ছাড়া ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) পিটিআইগুলোতেও ল্যাপটপ প্রদান করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর যথাযথভাবে তা শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োগ হচ্ছে কি না- তা নিয়মিত তদারকি করার জন্য তিনি পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও ঝরে পড়া রোধে চলতি বছর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষার মানউন্নয়ন ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মূল কাজ সম্পন্ন করে থাকেন পিটিআই-এর ইন্সট্রক্টরা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সরকার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকদের দেশের পাশাপাশি বিদেশেও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে।
এটি দেশকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের একটি ইতিবাচক দিক।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেছবাহ-উল আলম বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের। তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে পিটিআই কর্মকর্তাদের সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।অনুষ্ঠানে বক্তারা পিটিআই-কে প্রাথমিক শিক্ষক কলেজে রূপান্তরের প্রস্তাবের পাশাপাশি ৫৫টি সহকারী সুপারের পদ সৃষ্টির দাবি করেন।মন্ত্রী এর আগে সমিতির নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।