দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ জুলাই: মোবাইল কোর্টের আওতায় শাস্তির পর আসামিদের আপিল করে বের হয়ে যাওয়া রোধ করতে এবার মোবাইল কোর্টেও বচারের ক্ষেত্রে সরকার পক্ষে আইনজীবী (এপিপি) নিয়োগ করা হবে। টানা তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে তিনি এসব নির্দেশনার কথা জানান।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক একথা জানান।মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে মামলার জট কমানোর জন্য বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতি ব্যবহারে যাতে জেলা প্রশাসকরা আরো তৎপর হন সে জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।এছাড়া লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে গরীব মানুষকে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য জেলা প্রসাশকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৩ লাখ বালাম বইয়ের চাহিদা রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই ১লাখ ৯৫ হাজার বই সরবরাহ করেছি। বাকিগুলো শিগগিরই সরবরাহ করা হবে। মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে উৎসাহিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া লিগ্যাল এইডের বিষয়ে জানাতেও নির্দেশনা দেন তিনি।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা প্রসঙ্গে বলেন, জেলা প্রশাসকরা কোনো প্রস্তাব আমার কাছে করেননি। তবে কিছু কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। যেগুলো প্রতিকারে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি তদের অনুরোধ করলাম মামলা জট কমানোর জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির বিষয়ে মানুষকে উৎসাহ করতে। প্রচারের জন্য জেলা প্রশাসক যেন তৎপর হন, সেই জন্য তাদের অনুরোধ করা হলো।আইনমন্ত্রী আরও বলেন, লিগ্যাল এইডের বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন আশা করি। তারাই পারেন জনগণকে উৎসাহিত করতে ও প্রচারের জন্য তৎপর হলে সব-সাধারণ উপকৃত হবেন। মোবাইল কোর্ট আইনে সাজা পাওয়ার পর আসামিরা জামিন নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই সে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রত্যেক জেলায় একজন অ্যাসিসটেন্ট পাবলিক প্রসিকিউটর দায়িত্ব পালন করবেন।