full_1781091892_1437939703

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ জুলাই: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি(আইসিটি) উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চলমান ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস দ্রুততর করার ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেছেন। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা পুরোপুরিভাবে বন্ধ ও টেলিযোগাযোগ খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী পুত্র।

বৃহস্পতিবার সকালে ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান অংশ নেন। জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে এবং লক্ষ্য অর্জনে সরকার সবকিছুই করবে।জয় বলেন, বর্তমানে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা সন্তোষজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তবে এখনো আমরা এ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাইনি।এ অবস্থা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে এবং টেলিযোগাযোগ খাতকে দুর্নীতি মুক্ত করতে তিনি সকলের সহযোগিতা চান।সজীব ওয়াজেদ জয় মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতি মুক্ত রাখতে চাই। একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধ করা। এটা করতে অনেকটা সক্ষম হয়েছি। তবে আমার উদ্দেশ্য অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা সম্পূর্ণ বন্ধ করা।নিজের উদ্দেশ্য দেশের জন্য ভালো কিছু করা উল্লেখ করে জয় বলেন, আমার অনেক দিনেরই স্বপ্ন ছিল একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।

ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং তথ্য- যোগাযোগ প্রযুক্তি পরস্পর পরিপূরক। তথ্যের যে সেবা মানুষকে দেব সেই সেবাটির রাস্তা হচ্ছে টেলিযোগাযোগ।আওয়ামী লীগের গত টার্মে আমারই পরামর্শ ছিল যে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এনে টেলিযোগাযোগের সঙ্গে একত্র করতে হবে। কারণ এক সঙ্গে কাজ না করলে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না।

অনেক কাজ হয়েছে উল্লেখ করে জয় বলেন, আশা করছি এই টার্মে যেহেতু দুই বিভাগ এক সঙ্গে আছে, এখন আমাদের কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।জয় বলেন, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে চাই। এখন মোবাইল-টেলিফোন কভারেজে আমরা একশ’ শতাংশে পৌঁছে গেছি, ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে সেই জায়গায় পৌঁছাতে চাই।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।অন্যান্যের মধ্যে সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির শীর্ষ কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।