Enu1438236515

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩০ জুলাই: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, অপসাংবাদিকতা ও তথ্য সন্ত্রাস রুখতে হবে। আর এ কাজে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।তথ্যমন্ত্রী বলেন,ডিসিদের সঙ্গে গণমাধ্যমের অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে বলেছি, যুগ পাল্টে গেছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করায় যারা প্রশাসনে আছেন বিশেষ করে জেলা প্রশাসকদের গণমাধ্যমের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। এই দুটি বিষয়কে সামনে রেখে আমরা জেলা প্রশাসনকে জাগরণ যাত্রা এবং বাংলাদেশকে পুনঃআবিষ্কার করার লক্ষ্যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার নির্দেশনা দিয়েছি। এদিকে, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাত থেকে তৈরী পোশাক খাতের চেয়েও বেশী আয় করা সম্ভব।

পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি একজন বিদেশী পর্যটকের বিপরীতে ১১ জনের কর্মসংস্থান হয়।তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।তিনি জেলা প্রশাসকদের স্ব-স্ব এলাকায় পর্যটন প্রোডাক্ট চিহ্নিত করে কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার আহবান জানান।

রাশেদ খান মেনন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিষয়ক অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভ্্ুইঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্রও পাট মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ের বিষয়াদি নিয়ে বক্তৃতা করেন।

জেলা প্রশাসকগণকে মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রশাসনের অন্যতম চালিকা শক্তি উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, জেলা প্রশাসনের সাথে সরকারী সেবা বিকাশের দীর্ঘ ইতিহাস জড়িয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ শুরু করেন।তিনি বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি জনগুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় এ খাতকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, যথাযথ উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে এ খাতকে বিনিয়োগের থ্রাস্ট সেক্টরে পরিণত করার পথে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, বিমান পরিবহনখাতেও আমরা ইতোমধ্যে বহুদূর এগিয়েছি। বিমান বহরে নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজনের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স বহু প্রত্যাশিত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করেছে। মংলায় খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আধুনিক বিমান বন্দর হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, যাত্রীসেবা বৃিদ্ধর লক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৩য় র্টামিনাল ভবন নির্মাণ এবং কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম চলছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আঞ্চলিক বিমান বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।এসময়ে মন্ত্রী দেশের অব্যবহৃত বিমান বন্দরগুলো চালু করতে ডিসিদের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।