দৈনিকবার্তা-ভোলা, ২৯ জুলাই ২০১৫: লালমোহনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কমৃকর্তা কর্মচারীদের সহায়তায় বিদ্যুত সংযোগ দেওয়ার নাম করে এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চরভূতা ইউনিয়নের বাহাদুর চৌমুহনী থেকে মোল্লা বাড়ী পর্যন্ত নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ ও লাইন নির্মাণ করতে গিয়ে ধাপে ধাপে এলাকার অসহায় মানষদের কাছ থেকে মাথা পিছু ৪ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পযর্šÍ ঘুষ দিতে বাধ্য করেছে এসকল অসাধু কর্মকর্তারা ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার, ফজলু হাওলাদার ও লালমোহন পৌর সভার বিদ্যুতের লাইন ম্যান মাসুদ সহ কিছু দালাল লালমোহন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহায়তায় মিটার দেওয়ার নাম করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অর্ন্তভুক্ত করার নাম করে ৭শ, রড বোর্ডের জন্য ৭শ, লাইন দেওয়ার জন্য ৫শ, মিটারের জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার, মজুরী বাবদ ৫শ , ক্রয়ের জন্য আরো ১ হাজার করে টাকা আদায় করা হয়েছে। ভুক্তভুগি গ্রাহকরা বলেন, এসকল দালাল চক্রকে টাকা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাবেনা এই ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে সর্বনিম্ম ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা করে নিয়ে যায়। এদিকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে দালাল চক্র অফিসের সাথে যোগসাজেস করে এসকল বাসা বাড়ীতে মিটার দেয়নি। অনুসন্ধ্যানে আরো জানা যায়, এ এলাকার কোন ব্যাক্তি মিটারের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যায়নি। অফিসে না গিয়ে অনেকের বাসায় কিভাবে মিটার পেল এবং গ্রাহকের নাম করে কারা অফিসের সহায়তায় মিটারের জন্য আবেদন করল তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা কর্তপক্ষকে অনরোধ করেন।
এদিকে ফজলু হাওলাদার ,লালমোহন পৌর সভার বিদ্যুৎ লাইন ম্যান মাসুদ বিদ্যুতের মিটার সহ সংযোগ দেওয়ার নাম করে এলাকার রানু বিবি থেকে ৩ হাজার ৫শ, সফিজল মিয়া ৪ হাজার ৩শ, নতুন বাড়ীর মোস্তফা ৪ হাজার ৫শ, আরফুদ্দিন বাড়ীর সফিজল ৮ হাজার, খোরশেদ ৪ হাজার ৫শ, মালেক মুন্সী সাড়ে ৪ হাজার, লতিফ মোল্লা ৬ হাজার ৭শ টাকা আদায় করে। তবে চাদাঁবাজদের নেপত্রে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম ফরাজী রয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায় । এই সভাপতি লাইন নির্মাণের ঠিকাদারকে খাম্বার গাড়ী ভাড়ার নামকরে গ্রাহকদের থেকে উত্তোলন কৃত ব্যাপক টাকা নেওয়া সহ মিটারের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাজার হাজার টাকা আদায়ে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে বিভিন্ন ভাবে জানা যায় । এদিকে দালাল ফজলু গ্রাহকদের ভয়ে নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এব্যাপারে ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বলেন, লালমোহনের মাননীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এএলাপকার জন্য সাড়ে তিন কিলো মিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইন দিয়েছেন। এখানে প্রত্যেক গ্রাহকদের লাইন পেতে মাত্র ৬৫০ টকা লাগবে। যে সকল দালাল বা আমার অফিসের লোক এর বেশি টাকা নিয়েছে তাদেরকে ধরে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্ত করতে প্রতারণার স্বীকার এসকল ব্যাক্তিদের অনুরোধ করেন। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করায় এলাকার ভুক্তভোগীরা এসকল দালাল চক্র সহ অফিসের অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিতে ভোলা জেলা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম এর কাছে অনুরোধ জানান।