Mushfiq1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জুলাই ২০১৫: ওয়ানডে ফরম্যাটে ক্রিকেটবিশ্বে বাংলাদেশ দল একটা জায়গা করে নিয়েছে।সেই হিসেবে টেস্ট ফরম্যাটে টাইগাররা এখনও সেভাবে ভালো দলে পরিণত হতে পারেনি। তবে পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্টে ভালো খেলেছে মুশফিকুর রহিমের দল। সেই ধারবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ভালো পারফরম্যান্স করেছে স্বাগতিকরা।তাই এবার প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ভালো খেলার ধারবাহিকতা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। টেস্ট ম্যাচে ভালো খেলার ধারবাহিকতা ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্বাগতিক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

বৃহস্পতিবার থেকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্ট ম্যাচ। টেস্টের আগের দিন বুধবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে তামিম-মুস্তাফিজদের ব্যাট-বলের অনুশীলন। অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে টেস্টে ভালো খেলার পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ টেস্টে ভালো খেলার ধারবাহিকতা ধরে রাখাটাকে চ্যালেঞ্জ মানছেন মুশফিক। এ বিষয়ে স্বাগতিক টেস্ট অধিনায়ক বলেন, অতীতে আগে এরকম হয়তো দেখা গেছে, শেষ ম্যাচে আমরা দায়িত্ব থেকে কিছুটা সরে গেছি। কিন্ত এবার আমরা সেটা মাথায় রেখেছি। সবাইকে বলা হয়েছে এটা পাঁচদিনের খেলা। ওয়ানডে বা টি-২০’র মতো নয়, এখানে পুরো পাঁচদিন মনোযোগ ধরে রেখে খেলতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে এক নাম্বার দলের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। তাই চট্টগ্রামের মতো ঢাকাতেও মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। তাহলে শেষ টেস্টেও বাংলাদেশের পক্ষে অবশ্যই ভালো করা সম্ভব বলে মনে করছেন মুমফিক। এই কারণে চট্টগ্রামের পর ঢাকাতে স্বাগতিকরা আরও সতর্ক রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুশফিক বলেন, শারীরিকভাবে সবাই ফিট আছে। মানসিকভাবে অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা এখন এই চাপ হয়তো নিতে পারি। গত টেস্টে আপনারা দেখেছেন, এর আগে তিনটি ম্যাচ হারার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, সেটা আমাদের মেন্টাল স্ট্রেংথ’ প্রমাণ করেছে। তারপরও এই টেস্টে চ্যালেঞ্জটা বেশি হবে। আমরা সে চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা দেখতে চাই, নাম্বার ওয়ান টেস্ট দলের সঙ্গে আমরা কতোটা ভালো খেলতে পারি।টেস্ট ম্যাচে এখন বাংলাদেশ দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় খেলছে। আর নতুনরা ধারবাহিকভাবে ভালো খেলছে বলে মুশফিককে ঢাকা টেস্টে ভালো খেলার ব্যাপারে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।এ বিষয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচে এখন আমরা আমাদের সেরা খেলোয়াড়দেরই খেলাই। ভারত- পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা বাংলাদেশের জন্যই সত্যিই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও গত চার-পাঁচ বছর থেকে এখন খুব ভালো খেলছি। কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো পারফর্ম করছে। তাদের পারফর্ম দলীয় পারফরম্যান্সে অনেক ভূমিকা রাখছে। আমাদের দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই এখন ভালো ফর্মে আছে। এটা দলের জন্য খুব ইতিবাচক একটা দিক।

বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। চট্টগ্রাম টেস্টে তৃতীয় দিন পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের কাছে পিছিয়ে থাকে প্রোটিয়ারা। ম্যাচের চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে বৃষ্টি হওয়ায় শেষ অবধি পিছিয়ে থাকা ম্যাচে ড্র করে প্রোটিয়ারা।বৃহস্পতিবার মিরপুরে শুরু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। আর এ টেস্টের মধ্য দিয়েই শেষ হবে দ. আফ্রিকার বাংলাদেশ সফর।মিরপুর টেস্টে জয়ের জন্যই মাঠে নামবে সফরকারী দলটি। বুধবার (ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা। দ্বিতীয় টেস্টের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আমলা বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করতে চাই। শুরু ভালো হলে দল ভালো পজিশনে চলে যাবে। তারপর অবশ্যই জয় চাইব। আমরা জয়ের জন্যই খেলব। আর লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দিনের প্রথম সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় হতাশা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, প্রথম টেস্টে বৃষ্টি হয়েছিল। ম্যাচ কোন দিকে যেত সেটা বলা মুশকিল। দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে দলের ক্রিকেটাররা মুখিয়ে আছে। উপমহাদেশে আমাদের ভালো রেকর্ড রয়েছে। তবে এখানে খেলা কঠিন। এখানে গরমটা বেশি। তারপরও আশা করি ছেলেরা ভালো করবে।দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ডিন এলগারের প্রশংসা করে আমলা বলেন, এলগার প্রথম টেস্টে চমৎকার খেলেছে। দারুণভাবে সামলেছে বাংলাদেশের বোলারদের। ওপেনাররা ভালো শুরু করতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যাবে। এ কারণে আবারো বলছি, প্রথম সেশনটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।