দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জুলাই ২০১৫: আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়ন্স কাপ প্রীতি ম্যাচে টাইব্রেকারে ইউরো চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে হারিয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন চেলসি। মূল পর্বের লড়াই ২-২ গোলে অমীমাংশিত থাকায় টাইব্রেকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় মার্কিন মুল্লুকে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটির জয় পরাজয়। আর তাতে চেলসি গোল রক্ষক থিবাউট কুর্টিস প্রতিপক্ষের একটি শট ঠেকিয়ে দিলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত হয় নীল জার্সির দলের।ম্যাচের ১০ মিনিটেই ইডেন হ্যাজার্ডের গোলে এগিয়ে যায় লন্ডনের ক্লাব চেলসি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এসে লুইস সুয়ারেজ (৫২মি.)ও সান্দ্রো রামিরেজ (৬৬ মি.) পরপর দুই গোল করলে লীড পেয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত ৮৫তম মিনিটে গ্যারি চাহিল গোল করে সমতায় ফিরিয়ে আনে ব্লসদের। ফলে ২-২ গোলের সমতার মধ্য দিয়ে ইতি ঘটে মূল পর্বের লড়াইয়ের।
পরবর্তীতে জয় পরাজয় নির্ধারনের জন্য টাইব্রেকারের শরণাপন্ন হতে হয় দল দুটিকে। এ পর্যায়ে দ্বিতীয় পর্বের পেনাল্টি শটে এ্যালান হালিলোভিচের বল ক্রসবার উচিয়ে বাইরে চলে গেলে পিছিয়ে পড়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। তৃতীয় রাউন্ডে এসে গেরার্ড পিকের বলটি আটকে দেন চেলসি গোল রক্ষক কুর্টিস। জবাবে চেলসির হয়ে রামিরেজ ও লুইস রেমি দক্ষতার সঙ্গে প্রতিপক্ষের জাল ভেদ করলে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।অবশ্য দুটি দলই মার্কিন মুল্লুক সফরে এসেছিল অনেকটাই অনুশীলনের মেজাজে। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শীর্ষস্থানীয় দলের বিপক্ষে ম্যাচের মাধ্যমে দলীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে কম্বিনেশন খুঁজে বের করা। তবে প্রীতি ম্যাচ হলেও এনএফএল ওয়াশিংটন রেডস্কিনে অনুষ্ঠিত ম্যাচকে ঘিরে উৎসাহের কমতি ছিলনা দর্শকদের মাঝে। যে কারণে ম্যাচটি দেখার জন্য স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিল ৭৮ হাজার ৯১৪জন দর্শক।
হতাশ হতে হয়নি তাদের। তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই চলেছে ম্যাচটি। শুরুতেই ২৪ বছর বয়সি বেলজিয়ান মিডফিল্ডার হ্যাজার্ড গোল করে বাড়িয়ে দেন উত্তেজনার পারদ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বার্সার রক্ষণভাগে প্রবেশের পথে তিনি অন্তত তিনজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেন। এরপর গোল পোস্টের খুব কাছে গিয়েই জোড়ালো শটের সাহায্যে গোল আদায় করে নেন তিনি। এসময় নির্বাক তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা বর্সা গোল রক্ষক মার্স আন্দ্রে টের স্টেগেনের। ম্যাচের মেয়াদ ৩২ মিনিট পেরুনোর আগে আরো দুটি গোলের সুযোগ লাভ করেছিল ব্লুসরা। এসময় অস্কার ফ্রি কীক থেকে এবং দিয়াগো কস্তা বিপজ্জনক স্থানে বল পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন।এর পরপরই দুই দফা পরীক্ষা দিতে হয়েছে চেলসি গোল রক্ষক কর্টুইসের। ৩১ ও ৩২ তম মিনিটে তাকে প্রতিহত করতে হয় লুইস সুয়ারেজ ও বার্সা অধিনায়ক সার্জিও বসকুইটসের দূটি দূরপাল্লার জোড়ালো শট। ৩৪তম মিনিটে সুয়ারেজের আরো একটি আক্রমন রুখে দিয়েছেন চেলসি গোল রক্ষক কর্টুইস। তার নীচু শটের বলটি রুখে দেন চেলসি গোল রক্ষক। এর পরপরই সুয়ারেজের ক্রসের একটি বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ১০ মিটার দূর থেকে লক্ষ্য ভেদের চেস্টা করেছিলেন ইভান রিকটিক। এবারও সেটিকে ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠাতে সক্ষম হন ক্রেয়েশীয় গোল রক্ষক।