এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গুম-খুন ও অপহরণ করে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু তাদের এই মনোবাসনা কোনো দিন পুরণ হবে না। এই জালিম সরকারের পতন অনিবার্য। প্রত্যেকটি গুম-খুন ও অপহরণের বিচার করা হবে। স্বজন হারা পরিবারগুলোর চোখের পানি বৃথা যাবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নূরে আলমের পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়ে ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘আপনাদের স্বান্তনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তাকে হেফাজত রাখেন।’ এসময় নূরে আলমের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন ও বেগম খালেদা জিয়া তাদের জড়িয়ে ধরে স্বান্তনা দেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতা মোকছেদুর রহমান আবির ও হাজী আবু তৈয়বের নেতৃত্বে এসময় নূরে আলমের স্ত্রী রীনা আলম, দুই পুত্র মো: রুবেল আলম ও মো: রাহুল আলম এবং নূরে আলমের বড় ভাই আফসার মোল্লা, বোন সুমা হাজেরা ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মো: আমিনুল হকসহ আরও উপস্থিত ছিলেন মোকছেদুর রহমান আবির, নজরুল ইসলাম নজু,জাহাঙ্গীর আলম লালন, সাথী আক্তার, মো: শহিদুল,মো: উজ্জল হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে নিখোঁজ হন রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম। সেদিন গভীর রাতে নিজেদের ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তাঁকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও তার আর খোঁজ মেলেনি। পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যা ব, কেউই নূরে আলমের খোঁজ দিতে পারেনি।
প্রিয় স্বজনকে হারিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের দিন কাটছে এখন চরম উৎকণ্ঠায়। বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিক বিবৃতিতে নূরে আলমের লাশ উদ্ধারের দাবি করা হলেও দায়িত্বশীল প্রশাসন কোনো কার্যকরী ক্লু বের করতে পারেনি। পল্লবী ১০ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা নূরে আলমের গার্মেন্টের স্টকলটের ব্যবসা ছিল। পল্লবীতে ফিল্টার ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ব্যবসাও করতেন তিনি। পল্লবী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি তিনি ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন।