দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ২৯ জুলাই: যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী বুধবার গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার-১-এর কনডেম সেলে বসেই রেডিওতে রায় শুনেছেন। রায় শোনার পর তিনি স্বভাব সূলভ বেশ হাসি খুশি রয়েছেন। সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধূরী রিভিউ করবেন বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার-১-এর জেলার মো. ফরিদুর রহমান রুবেল জানান, যুদ্ধাপারাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধূরী বুধবার সকালে জেলখানায় তার কনডেম সেলে বসেই রেডিওতে ও কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আপিল বিভাগের দেয়া রায় শুনেছেন। ট্রাইবুনালের দেয়া রায়ে তার মৃত্যুদন্ডের পূর্বের রায় বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। মৃত্যুদন্ড বহালের খবর শুনার পরও সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মনোবল শক্ত ও স্বাভাবিক ছিল। তিনি স্বভাব সুলভ খুবই হাসি-খুশী ছিলেন।
রায় শুনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তিনি আইনের সর্বোচ্চ লড়াই লড়বেন। এসময় তিনি বলেন, আমি রিভিউ করবো। আমি আশাবাদী আমার রিভিউ টিকবে এবং ন্যায় বিচার পাবো। সাকা চৌধুরী আরো বলেন, আমি দেশের জন্য, জনগণের জন্য রাজনীতি করেছি। আমিতো ফেলনা কোন লোক নই। আমার কিছু কথার কারণে আজ হয়তো অনেকেই ক্ষুদ্ধ। আজ আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি নির্দোষ, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যুদ্ধাপরাধের মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুরস্থ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার-১-এর কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০১২সালের ২৩ অক্টোবর থেকে এ কারাগারেই আছেন। এর আগে তিনি ২০০৯ সাল থেকে কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার-২-এ বন্দি ছিলেন।
কাশিমপুরস্থ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার জানান, গণমাধ্যমে রায় শোনার পর জেলার ফরিদুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে জেল সুপার সুব্রত কুমার বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাকা চৌধুরীর সেলে যান। এসময় তারা তার রায়ের কথা জানান। তবে রায়ের কপি হাতে পেলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এর আগে সেলে বসে সাকা চৌধুরী নিজেই রেডিওর মাধ্যমে তার রায় শুনেছেন। এ রায়কে কেন্দ্র করে আমরা আগে থেকেই সতর্ক রয়েছি, কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছি, নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, রায়ের ব্যাপারে সাকা চৌধুরীর ছেলে হুমায়ুন কাদের চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।