accident3_6885

দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৮ জুলাই ২০১৫: বগুড়ার শেরপুরে দু’টি যাত্রীবাহী নৈশ কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক চালক সহ ৩৫জন হতাহত হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মাঝে ১০জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ছোনকা বিরইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুঁড়িগ্রাম গামী জবা পরিবহনের যশোর ব-১১-০০২৩ এর বিপরীত দিক থেকে ঢাকাগামী ঢাকাগামী নীলআকাশ চট্টমেট্রো ব-১১-০১০৫ নামের অপর একটি যাত্রীবাহী নৈশ কোচের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উদ্ধার করে শেরপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে রাতেই বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে অজ্ঞাত পরিচয় নওগাঁর এক বাস চালক (৪৫) মারা যায়। দূর্ঘটনায় আহতরা হলো- হারুনার রশিদ (২৮) রেজাউল (১৫) আয়েন উদ্দিন (২২) মফিজ উদ্দিন (৫০) হারুন মিয়া (২০)কাজল মিয়া (২২) লালমতি বিবি(৪২) লুৎফর আলী (৪০) আলম হোসেন (৩০) তরিকুল ইসলাম (৪৫) আতাউর রহমান (৫৫) মোরসালিন মিয়া(৪৫) আলেয়া বিবি (৩৫) শিশু-জোৎস্না খাতুন (১০) লাভলী খাতুন (৫) রফিকুল ইসলাম (৩৫) শিউলি খাতুন (২৫) রবিউল ইসলাম (৫০) ফোরকান আলী (২২) মুরাদ হোসেন(৩২) নয়ন মিয়া (১৮) এশা খাতুন (১৭) আলাউদ্দিন (৩৮) ফজলুল করিম (৪৫) রাজিব হোসেন (৪২) জাহানারা বেগম (৩২) লুৎফর রহমান (৪৫) আনিছুর রহমান (৪২) ও সালাউদ্দিন মিয়া (৪৫)। এছাড়াও প্রায় ১৮/২০জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়। আহতরা প্রায় সকলেই নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদিকে দুর্ঘটনায় কোচ দু’টির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এছাড়া দুর্ঘটনা কবলিত কোচ দু’টি মহাসড়কের ওপর আড়া-আড়ি ভাবে পড়ে থাকায় রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়লে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় ৩ঘন্টা পর পূনরায় যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।