দৈনিকবার্তা-গৌরনদী, ২৮ জুলাই ২০১৫: প্রবল বর্ষণ ও দমকা হাওয়ায় সোমবার দিবাগত রাতে জেলার গৌরনদী উপজেলার সীমান্তবর্তী বাবুগঞ্জের আগরপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনসেডের ভবন ধ্বসে পড়েছে। ফলে মঙ্গলবার থেকে ওই স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে আগামী ২ আগস্টের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সামচুল হক জানান, ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণ চরফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি ২০১২ সালে পাশ্ববর্তী সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যায়। ওই বছরই স্থানীয় শিক্ষানুরাগী বজলুর রহমান ও মজিবর রহমানের দান করা ৩৩ শতক সম্পত্তির ওপর টিনসেডের স্কুল ঘর নির্মান করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়।
সহকারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, স্কুলে বর্তমানে প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। তিনি আরও জানান, গত কয়েক বছর থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে শতভাগ পাশ করে বিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করে আসছে। স্কুলের পাকা ভবন নির্মানের জন্য দীর্ঘদিন থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল মেলেনি। সহকারি শিক্ষক লুৎফর রহমান ও অঞ্জনা রানী জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার তারা ক্লাশ শেষে বাড়িতে ফিরেন।
মঙ্গলবার সকালে তারা স্কুলে এসে দেখতে পান মধ্যরাতের প্রবল বর্ষণ ও দমকা হাওয়ায় তাদের টিনসেডের স্কুল ভবনটি ধ্বসে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছেন। ভবন ধ্বসে পড়ায় মঙ্গলবার থেকে ওই স্কুলের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. বাকাহীদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলার মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি স্কুল ভবনের তালিকা তৈরি করে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ চরফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রয়েছে এক নাম্বারে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ পেলেই পাকা ভবন নির্মানের কাজ শুরু করা হবে।