দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ জুলাই: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতির উত্থান ঘটে।তিনি বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান মনে প্রাণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। তাই তিনি ৭১’র পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করবেন।
মোজাম্মেল হক মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন। বিএনপির শীর্ষ নেতা, ৭১’র যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখার দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী শিকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন মনোয়ারা হক, মানবাধিকার কর্মী সেলিনা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জিয়াইর রহমান শাহ আজিজুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও গোলাম আজমকে নাগরিকত্ব দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করেছিলেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে কোন দিন হত না। শেখ হাসিনা জাতির কাছে ওয়াদা করেছিলেন ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। জীবনের ঝুকি নিয়ে তিনি সেই বিচার করছেন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সকল সৈনিকদের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।