দৈনিকবার্তা-নারায়ণগঞ্জ, ২৭ জুলাই ২০১৫: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে মাকসুদা বেগম (৩৭) নামে এক গৃহবধূ নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। ঘটনার পর পর স্বামী রনি (৪৫) পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার ভোরে পাইনাদী সিআইখোলা এলাকায়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির ভাই, বোন ও ভাবীকে আটক করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা চাদর ও একটি ছুরি উদ্ধার করেছে। নিহত মাকসুদা বেগম ঢাকার ভাষাণটেক এলাকার মৃত আলী হোসেনের মেয়ে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামছুল হক জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ভোরে মাকসুদা বেগমকে তার স্বামি রনি ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে। এতে মাকসুদা বেগম গুরুতর আহত হলে প্রতিবেশী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর স্বামী রনি পালিয়ে যায়। মাকসুদা বেগম দুই সন্তানের জননী। প্রতিবেশীরা জানায়, গত ১ মাস আগে তারা জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া আসেন। ভোর রাতে মাকসুদা বেগমের ৯ বছরের ছেলে সুমন মাকে বাঁচান বাঁচান বলে আমাদেরকে ডাকতে থাকে। পরে তার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিলে তারা এসে মাকসুদা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রনির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলা মতলব উত্তর থারার পাঁচআনী গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত আলী মিয়া প্রধান। প্রতিবেশীরা জানায়, রনি একজন ফল বিক্রেতা। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুঃ সরাফত উল্লাহ জানান, রনির সংসারের অভাব-অনটন চলছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রনির ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মাকসুদা বেগম খুন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ রনির ভাই নান্নু ও তার স্ত্রী সাজেদা ও বোন লিপিকে আটক করে আমাদের কাছে দিয়েছে। তবে তারা আসামী নয়। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। লাশ দাফনের পর নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা থানায় এসে মামলা দায়ের করবে। নিহতের স্বামী রনিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।