1437990983

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ জুলাই: চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি দিন যেন স্বপ্নের মত কেটে গেলো বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। শুরুতে সিরিজের শেষ ওয়ানডে। ৯ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়ের পর মাঝে ৫দিনের বিশাল গ্যাপ। ঈদুল ফিতরও চট্টগ্রামে আদায় করেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর চট্টগ্রাম টেস্ট। বৃষ্টির কারণে শেষ দু’দিন ভেসে গেলেও, প্রথম তিনদিন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলতে গেলে কোনঠাসাই করে ফেলেছিল মুশফিক অ্যান্ড কোং।

কিন্তু বৃষ্টির কারণে, ফলের মুখ না দেখায় স্বভাবতই মুশফিকুর রহিমদের সাথে হতাশ পুরো বাংলাদেশ।চট্টগ্রাম পর্ব শেষ, এবার শুরু ঢাকা টেস্টের অপেক্ষা। তার আগে চারদিন সময় পাচ্ছে ক্রিকেটাররা। যদিও একদিন চলে গেছে চট্টগ্রাম থেকে আসার কারণে। বাকি তিনদিনই কঠোর অনুশীলন এবং প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতিই আজ থেকে শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

সকাল ১০টায় মিরপুর শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয় শেষ টেস্টের প্রস্তুতি। দলের ক্রিকেটাররা শুরুতে ওয়ার্মআপে করে নেন শরীর গরম। এরপরই শুরু স্ট্রেচিং, ব্যাট-বলের প্রস্তুতি।চট্টগ্রামে অভিষেক টেস্টেই করেছিলেন অসাধারণ বোলিং। মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে তাই পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকেরও ছিল আলাদা ব্যস্তত। তার ক্লাসে অংশ নিয়েছেন মোহাম্মদ শহিদ, রুবেল হোসেনরাও।

অনুশীলন শেষে বাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে তিনি বলেছিলেন, র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা একটি দলের সাথে ড্র করতে পারাটাও হবে আমাদের জন্য অনেক বড় একটি ব্যাপার।’ কিন্তু বৃষ্টির কারণে পুরো খেলতে না পারায় আক্ষেপ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ইমরুল বলেন, ‘আমরা আসলে চেষ্টা করেছিলাম। বৃষ্টি তো আর আমাদের কারও নিয়ন্ত্রনে নেই।

পুরোটা খেলতে পারলে, ফল যাই হোক নিজেদের কাছেই ভালো লাগতো।এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ও নিউজিল্যান্ডের মতো ভিন্ন কন্ডিশনে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলতে শুরু করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় তারা পাকিস্তান এবং ভারতের সঙ্গে সিরিজেও জ্বলে উঠেছিল। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও। এরপর প্রথম টেস্টেও নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছে তামিম, মাহমুদুল্লাহ ও লিটনরা।

বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম টেস্টে ড্র হয়েছে। অতিথি দলের করা ২৪৮ রানের জবাবে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেমেছিল ৩২৬ রানে। দলের সিনিয়র থেকে শুরু করে জুনিয়রদের মানসিকতায় দারুণ পরিবর্তন এসেছে। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের ইতিবাচক মনোভাব আসার পেছনে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়াটাকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোচ আমাদের সমর্থন করেন। তিনি আমাদের শট খেলার ব্যাপারে স্বাধীনতা দিয়েছেন, কোনো বাধা নেই। আগে আমরা নির্দিষ্টভাবে খেলার নির্দেশ পেতাম। এখন সেটা নেই। এখন কোনো বাধা নেই। কোচের স্বাধীনতা পাওয়া অনেক ইতিবাচক একটি বিষয়।চট্টগ্রাম টেস্টে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিটন কুমার পরিণত ব্যাটসম্যানের মতো খেলেছেন। যদিও এরআগে মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন লিটন। কিন্তু সেদিন দারুণ খেলে তুলে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। লিটনের এই কার্যকরী ব্যাটিংয়ে সেদিন মূলত বাংলাদেশ লিড নিতে পেরেছিল ।