Badolo+Dinero+Prothomo+Kodomo+Full

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ২৭ জুলাই: বাঙালি ও কদম ফুল একই সূত্রে গাঁথা। কদম ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে প্রতিটি বাঙালিকে প্রকৃতির প্রতি মোহাবিষ্ট করে তুলে। কদম ফুলকে বলা হয় বর্ষার দূত। প্রতিবছরই বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়েই ফুটে কদম ফুল। আর এটাই আবহমান বাংলার চিরায়িত নিয়ম। বর্ষার এই বিরামহীন বর্ষণে গাছের শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে উঠেছে অসংখ্য কদম ফুল। হলুদ সাদার সংমিশ্রনে গোল বল আকৃতির এই ফুল এখন কদমের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে।

বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে উঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে গাছে ফুটে উঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে মানুষের মনে জাগিয়ে দিচ্ছে বর্ষার অনুভূতি। আকাশে মেঘের গর্জন আর প্রচন্ড বর্ষণই বলে দেয় এটা কদম ফুলের সময়। বর্তমানে এই ফুল গাছটি প্রকৃতি থেকে একরকম বিলিন হয়ে যাওয়ার পথে। আগের মতো যেখানে সেখানে দেখা যায় না এই অপরুপ সুন্দর্যের প্রতিক কদম ফুল গাছ।গ্রামের শিশু- কিশোরেরা কদমতলায় কদম ফুল নিয়ে খেলা করতো। মানুষ প্রিয়জনকে কদম ফুল উপহার দিত।

কিন্ত আজ ধীরে ধীরে তা একেবারেই হারিয়ে যেতে চলেছে। কদম ফুলের সৌন্দর্যে যেন দাগ পড়েছে। লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙ্গিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চাইছে না। কদম গাছের জায়গায় মেহগিনিসহ প্রভৃতি দামি কাঠের গাছ রোপনে ঝুঁকছে তারা। তবে প্রকৃতির মাঝ থেকে কদম গাছ চিরতরে হারিয়ে গেলেও বাংলা সাহিত্যে রিমঝিম আষাঢ় কদমকে তার চিরসঙ্গী করে রাখবে। গাছে ফোটা কদম ফুলের জুড়ি নেই বটে। সেই সঙ্গে যদি হালকা বাতাসের দোল খাওয়া দৃষ্টি চোখের কোণে আটকায় তাহলে উপভোগে বাদ যায়নি কিছু। আর যদি দেখা না হয়ে থাকে, সময়ের ব্যস্ততায় কিংবা চোখ এড়ানোর ফলে তবে সুযোগতো রয়েছেই। সৌভাগ্যক্রমে এখানকার বিভিন্ন জনপদে এ কদম ফুল গাছটি এখনও টিকে রয়েছে।