দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ জুলাই: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী থেকে সরে এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মেনে নেয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি আজ সকালে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উদ্যোগে চলমান রাজনীতি বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ আহবান জানান।
সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের সাথে সাক্ষাৎকালে নাম যাই হোক- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান। বঙ্গবন্ধু একাডেমীর উপদেষ্টা ডা. এমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপি, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বঙ্গবন্ধু একাডেমীর মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মেনে নিয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট করতে হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসার সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন সংসদীয় পদ্ধতির দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, এদেশেও তা অনুষ্ঠানের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন কী না -তাও দেশবাসীকে জানাতে হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য বিএনপিকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী মেনে নিতে হবে এবং তারা সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ না করে যে ভুল করেছেন তা স্বীকার করতে হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার জন্য এবং এ বছরের শুরুতে বিএনপি জামায়াত জোট যে নাশকতা করেছে তার দায়ভারও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বহন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া বর্তমানে যেমন কোন ধারা নেই তেমনি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন পথ নেই।
বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা শেষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। জনগণের রায় অনুযায়ী বর্তমান সরকার দেশকে শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৮ তম জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নতুন নেতৃত্ব বাছাইকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে যেভাবে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে তা সত্যি প্রশংসার দাবীদার। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের এ নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশের গণতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করবে। তারা সারা দেশের কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের সকল ছাত্র সংগঠনের ছাত্রলীগের মতো নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত।