দৈনিকবার্তা-ভোলা, ২৭ জুলাই ২০১৫: উদ্বোধনের ২ মাসের মাথায় প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে র্নিমিত ভোলা জেলার বৃহত্তম চরফ্যাশনের মায়া ব্রীজে উঠা নামার সংযোগ সিড়ি ধ্বসে পড়েছে। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সরেজমিনে জানা যায়, জেলা চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরকলমী ও নজরুলনগর ইউনিয়নকে জেলার মূল ভূ-খন্ডের পাশাপাশি সারাদেশের সড়ক যোগাযোগের সাথে সংযুক্ত করতে মায়া নদীর উপর নির্মিত বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘মায়া নদীর ব্র্রীজ’ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ৩৭৮ দশমিক ৪০ মিটার। ব্রীজের সংযোগ সড়ক সহ আরো ২টি ছোট ব্রীজসহ মায়া নদীর ব্রীজের মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ব্রীজটি ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে শুরু করে এই বছরের ৩০ এপ্রিল নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে নবারুণ ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মায়ানদীর উপর নির্মিত জেলার দীর্ঘতম সেতু ‘মায়ানদীর ব্র্রীজ’টি গত ৮ মে শুক্রবার সকাল ১০ টায় বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুলাহ আল ইসলাম জ্যাকব আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। উদ্বোধনের ২ মাসের মাথায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে জেলার এই বৃহত্তম ব্রীজে উঠা নামার সংযোগ সিড়িটি ধ্বসে পড়েছে। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ কালে চরকলমী ইউনিয়নের, রহিম, সুমন ও খোরশেদ আলম বলেন, পাশ্বর্তী এলাকার কলমী ব্রীজের সাথে প্রতিযোগীতা করে এখানে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় করে এই মায়া নদীর উপর এ ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই ব্রীজে ভাড়ি কোন যানবাহন চলাচল শুরু না হতেই ব্রীজ নির্মাণের প্রায় ২ মাসের মাথায় ব্রীজে উঠা নামার সিড়িটি ধ্বসে পড়েছে। ব্রীজ নির্মাণ করা হলে ও সেই অনুসারে সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। ভোলা সদর থেকে ঘুরতে আসা রিয়াজ, সোহেল জানান, এখানে দুটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের জন্য এতো কোটি টাকা ব্যয় করে যে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তা তুলনা মূল্যক অনেক বেশি। এইরকম আরো দুটি ব্রীজ ভোলা টু লাহারহাট রুটে নির্মাণ করা হলে ভোলা সদর থেকে বরিশাল গাড়িতে বসে অনায়াশে জেলার মানুষ যেতে পারতো। যে লক্ষ নিয়ে এই মায়া ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হতে অনেক সময় লাগবে।
নজরুল নগর ও নুরাবাদ ইউনিয়নের বিল্লাল ও ফারুক জানান, আমাদের এলাকায় আগে কোন বিনোদন কেন্দ্র ছিলনা এখন ব্রীজটি নির্মাণ হওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ ঘুরতে আসে। ব্রীজ হিসেবে আরো বড় প্রস্থ্য সড়ক নিমার্ণ করা হলে ব্রীজটি আরো জমজমাট হতো।সচেতন মহল মনে করছে, এখানে নদী হিসেবে তার চেয়ে অনেক বড় ও ব্যয় বহুল ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে একসময় মায়া নদীটি জেলার ম্যাপ থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে মনে করছেন তারা।এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. সোলায়মান বলেন, আমি সরেজমিনে নাগিয়ে কিছুই বলতে পারবো না বলে জানান।জেলার সর্ব বৃহত্তম এ মায়া ব্রীজটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে ২টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মধ্যে সেতু বন্ধন হলে উদ্বোধনের ২ মাসের মাথায় ব্রীজের উঠা নামার সংযোগ সিড়িটি ধ্বসে পড়ায় নানন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মনে। অন্যদিকে যে লক্ষ্য নিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে তা কতদিনে মূল ভূ-খন্ডের পাশাপাশি সারাদেশের সড়ক যোগাযোগের সাথে সংযুক্তের উপেক্ষায়।