দৈনিকবার্তা-লালমনিরহাট, ২৬ জুলাই: লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সাংসদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবর রহমানকে রাজাকার অখ্যা দিয়ে অযোগ্য ঘোষনা করে আদালতে মামলা হয়েছে। লালমনিরহাটের বিজ্ঞ আদিতমারী সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অভিভাবক সদস্যরা।বাদিরা হলেন, আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অভিভাবক সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও ইসমাইল হোসেন।
মামলা বিবরনে জানা গেছে, লালমনিরহাটের আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দীর্ঘ দিনের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও টানা ৭ বারের সাংসদ মজিবর রহমান স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষের শক্তি হওয়ায় কখনই জাতীয় দিবসের কোন কর্মসুচিতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেন না। ক্ষমতার দাফটে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও ৭বার সাংসদ হওয়ায় দীর্ঘ ২৮ বছর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেন নি।
১৯৯৮ সালে সাংসদ মজিবর রহমানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলে প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে দখলে নেন সভাপতির পদ।অন্যয়ের প্রতিবাদ করলেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পরিবর্তন করতেন হরহামেশে। এ ভাবে ক্ষমতার প্রভাবে একের পর এক চার জন নিষ্ঠাবান প্রতিবাদি শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব থেকে পরিবর্তন করেন। তবুও নিয়োগ দেয়া হয় নি প্রধান শিক্ষক। কার্যত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ আতœসাৎ করে আসছিলেন ক্ষমতার দাফটে।
অবশেষে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শওকত আরা সিদ্দিকাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে গিয়ে বেড়িয়ে যায় থলের বিড়াল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের সাথে সাথে মুখ খুলতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ঠরা। টানা ৭ বারের সাংসদ মজিবর রহমানের নামে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন ও ৩০জুন সহকারী জজ আদালতে দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সর্বশেষ ২১ জুলাই সাবেক এ সাংসদ মজিবর রহমানকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আখ্যা দিয়ে আদিতমারী জিএস মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি হিসেবে অযোগ্য ঘোষনা করে আদিতমারী সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যরা। এ নিয়ে সাবেক সাংসদ মজিবর রহমানের নামে তিনটি মামলা দায়ের হল।আদিতমারী সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার রাজু আহম্মেদ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।