press.jpg-25-7

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০১৫: শাহবাগ থানাধীন তোপখানা রোডের বৈশাখী আবাসিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এ অভিযান পরিচালনা করে ৫ অপহরণকারী ও ২ বিকাশ এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ২। মোঃ শরিফ হোসেন ৩। নিধন চন্দ্র দাস ৪। মোঃ সেলিম ৫। হোটেল বয় মোঃ আব্দুল কাদের ৬। বিকাশ এজেন্ট মালিক মোঃ নাছির উদ্দিন ও তার কর্মচারী ৭। মোঃ বাপ্পি। এ সময় তাদের হেফাজত হতে অপহৃত ভিকটিম মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে আনাম ও ০১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারী গ্রুপ জানায় তারা ভিকটিমকে বৈশাখী হোটেলের ৫ম তলায় ৫০১ নং কক্ষে অন্যায়ভাবে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের পিতার কাছ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। ভিকটিমের পিতা ২৩/০৭/২০১৫ তারিখ আদাবর থানায় এ মর্মে অভিযোগ দায়ের করলে ডিবি পুলিশ মামলার গুরুত্ব বুঝে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি পুলিশ ভিকটিমের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। সে অনুযায়ী পুলিশ উক্ত হোটেলে অবস্থান নেয় এবং সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তি জানায়, তার নাম মোঃ আব্দুল কাদের এবং সে বৈশাখী হোটেলের হোটেল বয়। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে সে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে এবং তার দেয়া তথ্য মতে, অপরাপর আসামী মোঃ শাহাদাৎ ও মোঃ শরিফকে আটক করা হয়। আসামী শরিফ ও শাহাদাৎ জানায় তারা গত ২২/০৭/২০১৫ তারিখ বিকেল ০৫.৩০ টায় আসামী মোঃ সেলিম এর মাধ্যমে ভিকটিম মোঃ মোহাইমিনুল এর ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে আদাবর থানা এলাকা হতে তাকে অপহরণ করে এবং বৈশাখী হোটেলের ৫০১ নং রুমে আটক করে রাখে। ভিকটিমকে আটককৃত অবস্থায় আসামী নিধন চন্দ্র দাস সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছিল। আসামীরা আরও জানায়, দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া না গেলে ভিকটিমকে হত্যা করা হবে বলে তার পিতাকে হুমকি প্রদান করা হয়।

আসামীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, তারা দীর্ঘদিন যাবত বৈশাখী হোটেলে লোকজন অপহরণ করে একই কায়দায় মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। আসামীরা বৈশাখী হোটেলের পার্শ¦বর্তী ১৭/২নং বিল্ডিং এর নীচতলায় নাছির টেলিকম নামক একটি বিকাশের দোকান হতে অপহৃত ভিকটিম এর পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজনদের নিকট হতে মুক্তিপনের টাকা নাছির টেলিকমের মালিক নাছির ও কর্মচারী বাপ্পিদ্বয়ের সক্রিয় যোগসাজশে আদায় করতো এবং একই কৌশলে তারা অন্যান্য বিকাশের দোকান হতেও ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম এর নির্দেশনায় ডিসি ডিবি (পশ্চিম) মোঃ সাজ্জাদুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে এডিসি মোঃ আঃ আহাদ পিপিএম এর নেতৃত্বে সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ বাকীবিল্লাহ ও সিনিঃ সহকারী পুলিশ কমিশনার তারেক আহ্মেদ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম দ্বারা অভিযানটি পরিচালিত হয়।