দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুলাই: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেছেন, শ্রবণ প্রতিবন্ধী যেসব শিশু কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ পেয়েছে, চিকিৎসার পর তারা প্রত্যেকে একটি নতুন জীবন পাবে।তিনি বলেন, এসব শিশু নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সমাজেও একদিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
শনিবার সকালে বিএসএমএমইউ’র মাল্টিপারপাস হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দপত্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম বরাদ্দপত্র অনুষ্ঠানে ৩৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে নামমাত্র মূল্যে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত ৩৬ জন প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৩৪জনই শিশু। দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আরো ৩৬ জন প্রতিবন্ধীকে এ বরাদ্দপত্র দেয়া হবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ এ বরাদ্দপত্র প্রদান করছে।মহতি এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ’র নাক কান ও গলা বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার।বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আবু সফি আহমেদ আমিন।স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’র প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়ারদার।প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও বিএসএমএমইউ’র নাক-কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহিরুল হক সাচ্চুর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জন ও নাক-কান-গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন, ডা. নাসিমা আখতার, সহকারী অধ্যাপক ডা. কারু লাল সাহা প্রমুখ।
উপাচার্য কামরুল হাসান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরদী ও কোমল মন এবং সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এ বিএসএমএমইউ’র মাধ্যমে এ উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হয়েছে।কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মত সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ চিকিৎসা সেবা এখন বিএসএমএমইউ’র মাধ্যমে দেশেই দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অটিজমে আক্রান্ত এসব শিশুরা আর অবহেলিত হয়ে থাকবে না, তাদের সমাজের মূল¯্রােতধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যেই সরকার এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট পেয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের মা-বাবাগণ সরকারের উপর অত্যন্ত খুশি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালে ডেভেলপমেন্ট অব কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম ইন বিএসএমএমইউ’র প্রথম পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৪৮ জনকে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার এ চিকিৎসা সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে, ৬ জনকে স্বল্পমূল্যে এবং ১২জনকে নিজ খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রাপ্ত ৬৬ জনের মধ্যে ৬৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীই এখন কানে শুনতে পাচ্ছেন।