দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০১৫: সাড়ে ৬ ঘণ্টা অবরোধের পর অ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে চীন মৈত্রী বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে ও টোলমুক্ত করার দাবিতে সকাল আটটায় সেতু অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিক ও চালকেরা। এ সময় ঢাকার সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খুলনা ও বরিশাল রুটের যান চলাচল বন্ধ ছিল। সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্তেই যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা আড়াইটার দিকে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোলমুক্ত সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ইমদাদুল হোসেন বলেন, সেতুটি টোলমুক্ত করার ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হবে না। আগের নির্ধারিত টোলই আদায় হবে। এর প্রেক্ষিতে তাঁরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।অবরোধের কারণে বুড়িগঙ্গা সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ দুই প্রান্তেই যানজট সৃষ্টি হয়। উত্তর প্রান্তে রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকা ও দক্ষিণ প্রান্তে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় যানজট হয়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় লোকজন মালপত্র নিয়ে হেঁটে পার হন।
সকালে অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারীরা বলেন, সেতুতে ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আগে যে টোল আদায় করা হতো, এখন তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণের বেশি করা হয়েছে। যেভাবে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, পরিবহন ম্রমিকদের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব না। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোলমুক্ত সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা মো. কামরুজ্জামান বলেন, তাঁদের আন্দোলন যৌক্তিক। আগে যেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার টোল ১০ টাকা নেওয়া হতো, এখন সেখানে ৩৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেলে আগে টোল নেওয়া হতো পাঁচ টাকা। এখন সেখানে ১৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মাইক্রোবাসে আগে টোল ছিল ২০ টাকা। আর এখন ৭৫ টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে। ট্রাকে েেটাল নিত ১২০ টাকা। এখন নিচ্ছে ২৪০ টাকা। সেতু টোলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন ও অবরোধ চলবে বলে তিনি জানান।বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু টোলমুক্ত সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ইমদাদুল হোসেন একইসময়ে বলেন, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু টোলমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম সেতুটি টোলমুক্ত করা তো দূরের কথা, টোল আরও বাড়ানো হয়েছে। ১৯৮৮ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।এ ব্যাপারে সেতুর টোলঘরের কর্মকর্তা মহিতুর রহমানের ভাষ্য, তাঁরা সরকারি নিয়ম অনুসারে টোল আদায় করছেন। এর চেয়ে বেশি টোল নেওয়া হচ্ছে না।দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামালউদ্দিন মীরের ভাষ্য, মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে, সমস্যার সমাধান হবে।