pic-11

দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ২৫ জুলাই ২০১৫: প্রশাসনিক অবহেলা ও দৃষ্টি হিনতার কারনে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী ট্রাফিক মোড় হতে ভদ্রা প্রর্যন্ত স্বাভাবিক যানবাহন চলাচলে বিঘœ ও জনজিবন ঝুকিপূর্ন। তারপরও প্রশাসন ও রাসিক কতৃপক্ষ নিরব! এমনই বক্তব্য এখন চায়ের দোকানে হোটেল রেস্তোরা রাস্তাঘাটে ও বিশিষ্টজনসহ সর্বশ্রেণীর সাধারন মানুষদের মুখে আলাপ-চারিতা শোনা যাচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহর থেকে রাজশাহীতে আসা যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক গুলি তালাইমারী ট্রাফিক মোড় স্মৃতি অম্লান চত্বর ঘুরে শিরোইল টারর্মিনালের দিকে যায়। আর এ জন্যই যাতায়াতের একমাত্র পথ হিসেবে তালইমারী ট্রাফিক মোড় হতে র্টারমিনাল প্রর্যন্ত রাস্তাটি খুবিই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারন লোকজনের মুখে তালাইমারী ট্রাফিক মোড়কে রাজশাহী শহরের নাভী বলতেও শোনা যায়। আবার কেউ কেউ তালাইমারী ট্রাফিক মোড়কে মিনি র্টারমিনাল বলে থাকে। মিনি র্টারমিনাল বলে কারন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত খেকে আসা বিপুল সংখ্যক যাত্রীরা এই মোড়ে বাসে উঠা নামা করে থাকে। মূল সমস্য হলো ট্রাফিক মোড় স্মৃতী অম্লান চত্বর ঘুরেই রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে নষ্ট ও ভালো ট্রাক-বাস পার্কিং করা থাকে প্রায় ২৪ ঘন্টাই। রাস্তায় কোন রকম একটি গাড়ী যাওয়ার মতো সরু জায়গা থাকে।

একটি গাড়ী আরেকটি গাড়ীকে পাশ কাটানোর উপায় থাকেনা। শুধু তাই নয় এই ব্যাস্তত্তম রাস্তাটিতে গাড়ী রেখে রাতে নাইটগার্ড দিয়ে প্রহারা দেওয়া হয়। দেখে মনে হবে রাস্তাটি রিতিমতো পাবলিক গ্যারেজ। আর এভাবে গাড়ী রাখার কারনে পুরো রাস্তার পাশে গতের্র সৃষ্টি হয়ে বর্ষার পানিতে রাস্তাটি কাদায় মাখামাখি হয়ে থাকে সবসময়। আর এসব ক্ষতিকর দিক গুলির নেপথ্যে রয়েছে, তালাইমারী ট্রাফিক মোড় হতে ভদ্রা মোড় প্রর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের একাধিক মটর গ্যারেজ । মূলত এসব নষ্ট গাড়ী গুলি গ্যারেজে কাজ করাতে এসে জায়গা না পেয়ে ব্যাস্তত্তম রাস্তার উপরেই রাখে। নষ্ট গাড়ী গুলি রাস্তার উপরে রাখার পরও প্রশাসনিক কোন সমস্যা না থাকার কারনে অন্যান্য ড্রাইভারেরা তাদের ভালো গাড়ীগুলো রাস্তার উপরেই রাখার অভ্যাস করেছে। সমস্যা তো নাই প্রহরায় নাইট গার্ড রয়েছে ১০/২০ টাকা দিলেই মিলছে নিরাপত্তা। অনিয়ম নিয়মে পরিনত হয়েছে। আর এই রাস্তাটি গ্যারেজে পরিনত হওয়ায় রাস্তার “দু”পাশে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে বাস-ট্রাক মেরামতের স্বল্প জায়গায় গ্যারেজ। এইসব গ্যরেজ গুলি থেকে পেছন ফিরে গাড়ী বের করার সময় ড্রাইভারের গুরুত্ব হিনতার কারনে ট্রাক-বাসের ধাক্কায় প্রায় প্রতিদিনই ডিভাইডারের উপরে বসানো সৌন্দর্য বর্ধনের মূল্যবান এসএস পাইপ গুলি ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। এস এস পাইপ গুলি ভেঙ্গে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। নষ্ট হচ্ছে গাছপালা।

নগরী হারাচ্ছে তার আপন রুপ। তারপরও রাসিক কতৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সৌন্দর্য বর্ধন পড়েছে ধংসের মুখে। সৌন্দর্য বর্ধনের ভেতরের অবৈধ স্থাপনা এসএস পাইপ মেরামত ও চুরী রোধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান, সচেতন মহল, বিশিষ্ট জন ও সর্ব শ্রেনীর নগরবাসী। ক্ষুব্ধ নগরবাসীরা জানান, সাবেক মেয়র এএইচটএম খায়রুজ্জামান লিটন অনেক শ্রম দিয়ে নগরবাসীর চাহিদা মাফিক পায়ে হাটা ফুটপাত আর ফুটপাত সংলগ্ন গ্রিলের মাঝে গাছের চাঁরা রোপন করে তাদের দির্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরুন করেছিলেন। নগরবাসীর স্বপ্ন পূরুন হওয়ার পরও মাদকাশক্ত, অসাধু সুবিদাভোগী ব্যাবসায়ীদের ব্যাক্তি সার্থের কারনে সুন্দর রাস্তাঘাট ও সবুজ নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন ধংস হয়ে যাচ্ছে এই দৃশ্য দেখতে নারাজ নগরবাসী। যাদের কারনে এমটি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে ব্যাস্তত্তম রাস্তা উদ্ধার, সৌন্দর্য বর্ধনের মধ্যে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা , ফুটপাত উদ্ধার , মূল্যবান লোহার তৈরী গ্রীলের ক্ষতি সাধন, ও ক্ষতিগ্রস্ত এসএস পাইপগুলি মেরামতের মাধ্যমে নগরীর সৌন্দর্য সংরক্ষনের দাবী নগরবাসীর। রাস্তার উপর গাড়ী রাখার বিষয়ে আরএমপির ট্রাফিক এসির সাথে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রাস্তার উপরে গাড়ী রাখার বিষয়টি আমি দেখবো। আর সৌন্দর্য বর্ধন ধংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে কি ভাবে ? এ বিষয়ে, রাসিক মেয়র, রাসিক চিফ-ইজ্ঞিনিয়ার, রাসিক সচিব- এর নিকট লিখিত দরখাস্ত, পত্রিকার স্বচিত্র প্রতিবেদন ও একাধীকবার অফিসে ধরনা দিয়েও আস্বাস ছাড়া কোন প্রকার কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করতে দেখা যায়নি আজও।