দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুলাই ২০১৫: নানা অভিযোগে সমালোচনার মধ্যে থাকা ছাত্রলীগকে পথ থেকে বিচ্যুত না হতে সতর্ক করেছেন শেখ হাসিনা।দেশের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিয়মিত ছাত্ররাই নেতৃত্ব দেবে বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৮তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ছাত্রলীগের মূলনীতি শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতি। এর থেকে ভালো কোনো নীতি হতে পারে না।তিনি আরও বলেন, আমি একটি কথাই বলতে চাই ছাত্রলীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম সংগঠন। আমি চাইবো ছাত্রলীগ যেন একটি আদর্শ নিয়ে চলে।ছাত্রলীগকে মনে রাখতে, আমি ছাত্রলীগের হাতে খাতা-কলম তুলে দিয়েছিলাম লেখা-পড়া করার জন্য। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে তাদেরই নির্বাচিত করতে হবে যারা নিয়মিত ছাত্র।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখেছি।এক যোগে সারাদেশে বোমাবাজিও দেখেছি। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে।তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি হতে হবে আদর্শ ভিত্তিক। মনে রাখতে হবে শিক্ষাই হলো জাতিকে উন্নত করে গড়ে তোলার একমাত্র পথ।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ দেশের সব উন্নয়নে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের ভাবমূর্তি যেন কোনো ভাবেই ক্ষুন্ন না হয়।
বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতায় ছাত্রলীগের ভূমিকা অগ্রগণ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে বলবো, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রত্যেককে পড়তে হবে।তাহলেই জানা যাবে একজন মানুষ আদর্শের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে।নিজের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার সম্পন্ন ও সাজা কার্যকরের বিষয়ে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার প্রতিজ্ঞা ছিলো একদিন না একদিন তিনি বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করবেন। তার সে প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়েছে। তবে এজন্য তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করেছেন। এসব কাজে তার মূল শক্তি ছিলো সততার শক্তি।শুধুমাত্র সততার শক্তির জোরেই তিনি এসব গুরুদায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গড্ডালিকায় গা না ভাসিয়ে সততার জোরে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।উদ্বোধনী বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সংগ্রামী ইতিহাসের প্রতিও আলোকপাত করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন,পাকিস্তানি সামরিক শাসনের সময় দেশে যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো তখন এই ছাত্রলীগের মাধ্যমেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এমনকি বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকার সময় প্রধানমন্ত্রীর মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মাধ্যমেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিতে তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙ্গালির যা কিছু অর্জন তা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। এর এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রলীগ।৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের শাসকচক্রের কারাগার থেকে মুক্ত করার সংগ্রামে ছাত্রলীগ মূল ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়েছিলো ছাত্রলীগের উদ্যোগেই।
এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও তিনি বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।সারাদেশ থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে দু’দিনব্যাপী (শনি ও রোববার) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।ছাত্রলীগের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের সহযোগী এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উৎসব মুখর পরিবেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর চলছে সম্মেলনের অন্যান্য কার্যক্রম।সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দু’বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার সম্মেলন হচ্ছে ৪ বছর পর।শনিবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংগঠনটির সম্মেলন উদ্বোধন করে নিয়মিত ছাত্র ও মেধাবীদের মধ্য থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনের তাগিদও দেন তিনি।বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও এই সংগঠনটিতে যুক্ত ছিলেন এবং বদরুন্নেসা কলেজ (তৎকালীন ইডেন ইন্টারমিডিয়েট কলেজ) ছাত্র সংসদের ভিপিও ছিলেন।শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমি এটুকুই চাইব, ছাত্রলীগ যেন সব সময় একটা আদর্শ নিয়ে চলে। কারণ, আদর্শহীন সংগঠন ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করতে পারে, জাতির স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে না।এই সংগঠনের ইতিহাস বাঙালির প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে জড়িত। এই সংগঠনের ভাবমূর্তি যেন কোনো ভাবেই ক্ষুন্ন না হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ভূমিকা থাকলেও সংগঠনটির সাম্প্রতিক কার্যক্রমে প্রশংসার চেয়ে সমালোচনাই বেশি।হল দখল, দরপত্র নিয়ে সন্ত্রাস, অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে সংঘর্ষ- এসব কাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারাও ছাত্রলীগের সমালোচনা করতে ছাড়ছেন না।ছাত্রলীগের মূল নীতি ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি’র কথা সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে তাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মেধাবী ছাত্রদের দেখার প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, মেধাবী, নিয়মিত ছাত্র ও পড়াশোনায় মনোযোগী, তাদেরকেই নির্বাচিত করতে হবে।ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বদাতা হিসেবে এখনকার ছাত্রলীগ নেতাদের তৈরি হতে আধুনিক প্রযুক্তি আত্মস্থ করতেও তাদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।সুশিক্ষায় শিক্ষিত না হলে তারা কিভাবে নেতৃত্ব দেবে?এবার সম্মেলনে দুই বছর দেরি হওয়ায় ধারাবাহিকতা রাখতে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বয়সসীমা ২৯ বছর করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা, যাকে ‘সাংগঠনিক নেত্রী’ মনে করে ছাত্র সংগঠনটি।আমি একটা সুনির্দিষ্ট বয়স ঠিক করে দিয়েছিলাম। ২৭ বছর করে দিয়েছিলাম। ২ বছর নষ্ট হয়েছে।গ্রেস পিরিয়ড দিতে হয়। এখন সেটা ২৯ বছর হয়ে গেছে। ২৯ বছরই থাকতে হবে।এই দেরির কথা বলতে গিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ববর্তী সহিংসতা এবং চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের সহিংসতা মোকাবেলায় ছাত্রলীগের ভূমিকার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।যদিও দুই বছর দেরি হয়েছে। আমি দোষ দিই না। ২০১৩ সালের মে থেকে নির্বাচন ঠেকাওয়ের নামে যে তাণ্ডব এই বাংলাদেশে হয়েছে। ওই অবস্থার মধ্যে একটা সম্মেলন করা কঠিন ছিল।
চলতি বছরের শুরুর তিন মাস বিএনপি জোটের সহিংস আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে পারে নাই বলেই দুই বছর দেরি হয়ে গেছেছাত্রলীগের কাউন্সিলের প্রতিনিধি-পর্যবেক্ষকেদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব সম্পূর্ণ ভোটে নির্বাচিত হবে। কেউ ঠিক করে দেবে না।ছাত্রলীগের যারা কাউন্সিলর, তারা যাকে চাইবে, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। সেই সঙ্গে সঠিক নেতৃত্ব বাছাইয়ের জন্যও কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।আমি শুধু এইটুকু বলব,নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে মাথায় রেখে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারে সেই ধরনের মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রী,তারাই যেন নির্বাচিত হতে পারে।কাউন্সিলে ভোটে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহারের পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা সংগঠনটির গৌরবের ইতিহাসও তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার অগ্রণী শক্তি হিসাবে ছাত্রলীগ ছিল।বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বৈরী পরিবেশে দেশে ফিরে সংগঠনটিকে সচল করতে নিজের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
আমি দেশে ফিরে এই সংগঠনের নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনি। এই নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার মধ্যে বহু প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। অনেক সময় ভাঙনের সম্মুখীন হতে হয়েছে।মহান অর্জনের জন্য মহান ত্যাগ প্রয়োজন, ত্যাগ ছাড়া কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না’- নিজের বাবাকে উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, “শুধু ভোগের কথা চিন্তা করে যারা নেতৃত্ব দেবে, তারা দেশকেও কিছু দিকে পারবে না, জাতিকেও কিছু দিতে পারবে না।যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এই খুনির রাজত্ব আর যেনো বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে পড়ার কথাও বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখেছি।এক যোগে সারাদেশে বোমাবাজিও দেখেছি। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন ছাত্রলীগ দেশের সব উন্নয়নে জড়িয়ে রয়েছে। তাদের ভাবমূর্তি যেন কোনো ভাবেই ক্ষুন্ন না হয়।
বাঙ্গালির সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতায় ছাত্রলীগের ভূমিকা অগ্রগণ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মীকে বলবো, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রত্যেককে পড়তে হবে। তাহলেই জানা যাবে একজন মানুষ আদর্শের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারে।নিজের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার সম্পন্ন ও সাজা কার্যকরের বিষয়ে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার প্রতিজ্ঞা ছিলো একদিন না একদিন তিনি বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করবেন। তার সে প্রতিজ্ঞা পূরণ হয়েছে। তবে এজন্য তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করে তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করেছেন। এসব কাজে তার মূল শক্তি ছিলো সততার শক্তি।শুধুমাত্র সততার শক্তির জোরেই তিনি এসব গুরুদায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। এ জন্য ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গড্ডালিকায় গা না ভাসিয়ে সততার জোরে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। ছাত্রলীগের সবাইকে সৎ পথে থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অনেক ঝড়ঝাপটা, অনেক বাধা বিঘ্ন আমাদের অতিক্রম করতে হয়েছে। বারবার আঘাত এসেছে।শুধু দেশের ভিতরে নয়, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা রকম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয়েছে। তা মোকাবেলার শক্তি পেয়েছি সততার শক্তি থেকে। সততার শক্তি অপরসীম।অনুষ্ঠানে আলোচনার আগে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। তার আগে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়ানো হয়।সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমানে দুই মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পাশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসবে ছাত্রলীগের কাউন্সিল অধিবেশন, যেখানে আগামী নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে।