DoinikBarta_দৈনিকবার্তা_e-commerce

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ জুলাই: অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার ওয়েবসাইটে একটি মোবাইল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল কিশোর মোহাইমিনুল।যথারীতি কেনার আগ্রহ দেখিয়ে তাকে ফোন করেন এক ক্রেতা।কথামতো সে আদাবরের শেখেরটেক এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের সামনে আসে। সেখান থেকে কথিত ওই ক্রেতা ও তার সহযোগীরা মোহাইমিনুলকে অপহরণ করে বাবার কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করার পর এমনই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডের বৈশাখী আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে মোহাইমিনুলকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সাত জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে দুইজন বিকাশ এজেন্টও রয়েছে।অপহরণকারী চক্রের আরও দু’সদস্য পলাতক। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। তাদের আটকের চেষ্টাও অব্যাহত আছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো.শরীফ হোসেন, নিধন চন্দ্র দাস, মো.সেলিম, হোটেল বয় মো. আব্দুল কাদের, বিকাশ এজেন্ট মালিক মো. নাছির উদ্দিন ও তার কর্মচারী মো. বাপ্পি।মনিরুল ইসলাম জানান, এ চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে আসছিল। একই কৌশলে আরো ৫ থেকে ৬ জনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে তারা। মুক্তিপণের টাকা বৈশাখী হোটেলের পাশের ১৭/২ নম্বর ভবনের নিচতলায় নাছির টেলিকমের বিকাশের দোকান থেকে আদায় করা হতো। দোকানের মালিক নাছির ও কর্মচারী বাপ্পি এ কাজে অপহরণকারী চক্রকে সাহায্য করত।এই অপহরণের সঙ্গে বৈশাখী হোটেল কর্তৃপক্ষও জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এই সন্দেহের কারণ হিসেবে মনিরুল বলেন, তিন-চার দিন ধরে হোটেলের একটি কক্ষে একজনকে বন্দি করে নির্যাতন করার বিষয়টি জানবে না এটা হতে পারে না।ওই হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে এখন থেকে রাজধানীর হোটেলগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করার কথাও সাংবাদিকদের জানান।আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল বলেন, বৈশাখী হোটেলের ৫ম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে ওই কিশোরকে নির্যাতন করে অপহরণকারীরা। ওই সময় কিশোর চিৎকার করলে তার বাবা-মাকে শুনিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে।