দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ২৪ জুলাই ২০১৫: চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনেও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টির কারণে শুক্রবার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। ফলে চট্টগ্রাম টেস্টের ফলাফল নিশ্চিত ড্রয়ের পথে হাঁটছে।বুধ ও বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন তৃতীয় সেশনে বৃষ্টি আঘাত হানে। এই কারণে প্রায় ৫০ ওভার খেলা ভেস্তে যায়। শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা পর বেলা ১টা ২৫ মিনিটে ম্যাচ রেফারি শুক্রবার দিনের চতুর্থ দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ক্রিস ব্রড।প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৩২৬ রানে। ফলে ৭৮ রানের লিড পায় টাইগাররা। টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে প্রোটিয়ারা বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করেছে। ফলে বাংলাদেশ এখনো ১৭ রানে এগিয়ে রয়েছে।বাংলাদেশ আর দক্ষিণ আফ্রিকা এর আগে যে ক’বার টেস্টে মুখোমুখি হয়েছিল তার কোনোটিই পঞ্চম দিনে গড়ায়নি। টানা তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি হানা দেয়ায় ম্যাচটি পঞ্চম দিনে গড়ানো নিশ্চিত হয়ে গেছে প্রায়। তৃতীয় দিন শেষে খেলা যে পর্যায়ে ছিল তাতে শেষটা হতে পারত রোমাঞ্চকর। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই মিলিয়ে গেছে। প্রথমবারের মতো তাই বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো টেস্ট গড়াচ্ছে পঞ্চম দিনে। এতে বৃষ্টির যত ভূমিকা, তার চেয়ে কম নয় স্বাগতিকদের পারফরম্যান্স। চতুর্থ দিন শেষে এখনও ১৭ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।
শুক্রবার এক মুহূর্তের জন্যও থামেনি বৃষ্টি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো থাকায় বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরুর জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হত না। কিন্তু বিরামহীন বৃষ্টির জন্য হোটেল থেকে মাঠেই আসেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। তবে দুপুরে মাঠে আসেন বাংলাদেশের কয়েক জন ক্রিকেটার। বৃষ্টির কারণে আগেই খেলা শেষ হওয়ার সময় দ্বিতীয় দিনের ২৫ ওভার ও তৃতীয় দিনের ২৪.৫ ওভার বাকি ছিল। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, পঞ্চম দিন শনিবারও বৃষ্টি হওয়ার জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করা দক্ষিণ আফ্রিকার চট্টগ্রাম টেস্ট জেতার সম্ভাবনা একরকম শেষই হয়ে গেছে। অতিথিদের বিপক্ষে প্রথম আট টেস্টে হারা স্বাগতিকরা তাই বেরিয়ে আসবে হারের বৃত্ত থেকে। এর আগে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৮ রান তোলার পর বাংলাদেশ ৩২৬ রান করে ৭৮ রানের লিড নেয়।