দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৫: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে রুটিন দায়িত্ব পালন ছাড়া নতুন কোনো নিয়োগ, ব্যবস্থা চালুকরণ বা কাউকে কোনো নতুন দায়িত্ব না প্রদান করার জন্য সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। শীঘ্রই এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য উপাচার্যকে ডাকা হবে। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদেরকে আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি শোভন করার পাশাপাশি একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সম্পর্কে উত্তাপিত শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণ, নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন রকম অভিযোগ বিষয়ে শিক্ষকরা গত ৩২ দিন ধরে অব্যাহত আন্দোলন করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. সৈয়দ সামশুল আলম, প্রফেসর ড. ইয়াসমিন হক, প্রফেসর ড. মো. ইউনুস, প্রফেসর ড. মো: আনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো: আব্দুল গণি, প্রফেসর সৈয়দ হাসানুজ্জামান, প্রফেসর ড. দীপেন দেবনাথ ও মো: ফারুক উদ্দিন।বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এ এস মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব হেলাল উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী পৌনে তিন ঘন্টা ধরে ধৈর্য্য ধরে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের বিভিন্ন বক্তব্য শোনেন। তিনি বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি অত্যন্ত স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। এটিকে গুণে-মানে, শিক্ষায়-গবেষণায় দেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন এ জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে আরো দক্ষ, যোগ্য, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হতে হবে আদর্শবান, নীতি-নৈতিকতায় আপোষহীন ও দক্ষ প্রশাসক। সবার আচার-আচরণ হবে অনুকরণী। তিনি আশা করেন শীঘ্রই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কেটে যাবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।