দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ২৩ জুলাই ২০১৫: বগুড়ায় করতোয়া নদীর দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বগুড়া জেলা প্রশাসন। এ অভিযানের প্রথম দিনেই উচ্ছেদ করা হয়েছে ছয়টি অবৈধ স্থাপনা। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই উচ্ছে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি জানান, করতোয়া নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বগুড়া জেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। তিনি আরো জানান, করতোয়া দখলমুক্ত অভিযানের প্রথম দিনেই ছয়টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ দখলদাররা হলেন মাজেদ হোসেন, মতিয়ার রহমান, শ্রী আনন্দ, ফরিদ উদ্দিন, জোবাইদুল ইসলাম ও সঞ্জীব কুমার। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, ৮০’র দশকের শেষ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খুলশিতে করতোয়া নদীর পানি প্রবাহের মুখে একটি সুইচ গেট নির্মাণ করে। এর ফলে করতোয়া নদীতে পানির প্রবাহ কমে যায়। এক পর্যায়ে যৌবন হারিয়ে করতোয়া একটি মরা নদীতে পরিণত হয়। করতোয়ার এ বেহাল দশার সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীর দুই পাশের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলেন। দুই যুগের বেশি সময় ধরে এসব অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে করতোয়াকে বাঁচাতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অন্দোলন করে আসছিল।