14376402540
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৫: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ আগষ্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের আংশিক জেরা শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন আদালত।এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর প্রায় ২০ মিনিট আদালত চত্বরে নিজের গাড়িতে অপেক্ষা করেন। সাড়ে ১০টায় বিচার কার্যক্রম শুরু হলে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত মামলা দুটির বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের অসমাপ্ত জেরা অনুষ্ঠিত হয়।খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। জেরা অসমাপ্ত রেখে খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালত মুলতবির আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
1437642861
তারা আবেদনে উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তারা আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করবেন। কিন্তু আদেশের কপি পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে জেরা স্থগিতের আবেদন জানান আইনজীবীরা।আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতে শুনানি শেষ করার আদেশ দেন।অন্যদিকে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের জামিন স্থায়ী করার আবেদন জানান তাদের আইনজীবী। এ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।প্রথমে শুনানির জন্য ৩০ জুলাই নির্ধারণ করা হলেও ওই দিন দৈনিক আমার দেশ  পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের হাজিরার দিন থাকায় পরবর্তী শুনানি ৩ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়। এর আগে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।আদালতে হাজিরা শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত চত্তর ত্যাগ করে খালেদা জিয়া বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।জেরা চলাকালে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়াসহ অনেক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
143764277300000
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক এবং বাকিরা জামিনে আছেন। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমান বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে এবং হারিছ চৌধুরী মামলার প্রথম থেকে পলাতক রয়েছেন।