দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুই মামলার শুনানী শেষে তার আইনজীবি খন্দকার মাহবুব হোসনে সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল এই দুটি প্রতিষ্টান বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত ট্রাষ্ট। এখানে সরকারের অর্থের কোন অপচয় কিংবা ক্ষতি হয়নি। সম্পুর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা জেরায় দেখিয়েছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি দুর্ণীতি মামলা ছিল যা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বিলীন হয়ে যায়।জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ আগষ্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের আংশিক জেরা শেষে আজ বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন আদালত।এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে হাজির হন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর প্রায় ২০ মিনিট আদালত চত্বরে নিজের গাড়িতে অপেক্ষা করেন। সাড়ে ১০টায় বিচার কার্যক্রম শুরু হলে তিনি আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। বেলা ১২টা পর্যন্ত মামলা দুটির বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের অসমাপ্ত জেরা অনুষ্ঠিত হয়।
খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। জেরা অসমাপ্ত রেখে খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালত মুলতবির আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। প্রথমে শুনানির জন্য ৩০ জুলাই নির্ধারণ করা হলেও ওই দিন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের হাজিরার দিন থাকায় পরবর্তী শুনানি ৩ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়।এর আগে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।আদালতে হাজিরা শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত চত্তর ত্যাগ করে খালেদা জিয়া বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক এবং বাকিরা জামিনে আছেন।অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমান বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।এ মামলায় জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে এবং হারিছ চৌধুরী মামলার প্রথম থেকে পলাতক রয়েছেন।