1437561053_Cox-Myanmer-PIC

দৈনিকবার্তা-কক্সবাজার, ২২ জুলাই ২০১৫: মিয়ানমারের জলসীমায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীর মধ্যে ১৫৫ বাংলাদেশিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার।বুধবার দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা পতাকা বৈঠক শেষে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান কক্সবাজারস্থ বিজিবির ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রবিউল ইসলামের কাছে আরো ১৫৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছেন মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের প্রধান ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিচালক চ নাইন।বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনাক্ত ১৫৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পাঁচটি বাসে করে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হবে। এরপর তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।তিনি আরো জানান, সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় যদি কোনো বাংলাদেশি মিয়ানমারের থেকে থাকে, তাহলে সবাইকে নিয়ে আসা হবে। এর আগেও দুই দফায় ১৮৭ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছিল।

বিজিবির এ কর্মকর্তা জানান, গত ২১ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ২০৮ অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত ১৫০ জনকে ৮ জুন ফেরত আনা হয়। এরপর ১৯ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো ৩৭ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়।এ ছাড়া গত ২৯ মে মিয়ানমারের জলসীমা থেকে দ্বিতীয় দফায় দেশটির নৌবাহিনী আরো ৭২৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় ১৫৫ জনকে ফেরত আনা হয়েছে।এদিকে মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়ার অভিবাসীদের মধ্যে আরো ৩৭৩ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর।তিনি জানান, মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়ার অভিবাসীর মধ্যে আরো ৩৭৩ জন বাংলাদেশি শনাক্ত হয়েছে। তাদের খুবই শিগগিরই বাংলাদেশে ফেরত আনা হবে।এর আগে বুধবার বেলা ১১টায় ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ পতাকা বৈঠক শুরু হয়। আর শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৩টায়। পতাকা বৈঠকে ১০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায় লে. কর্নেল রবিউল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিজিবির সদস্যরা।আর মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিয়ানমার ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিচালক চ নাইন।